সংক্ষিপ্ত
অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতীয়রা এই রোগে গড়ে ১০ বছর আগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এর পিছনেও রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতীয়রা এই রোগে গড়ে ১০ বছর আগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এর পিছনেও রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ।
আগে একটা বয়স পেরনোর পরে হার্টের সমস্যায় দেখা দিত। কিন্তু এখন বয়সের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকে না রোগ। ৩০ পেরনোর পর থেকেই হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিছু ক্ষেত্রে ২০-র ঘর থেকেও এই রোগের শিকার হচ্ছেন অনেকে। দিন দিন এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে।
এক সর্বভারতীয় হেলথ ওয়েবসাইটে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতীয়রা এই রোগে গড়ে ১০ বছর আগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এর পিছনেও রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ।
জেনে নিন কম বয়সিদের মধ্যে হার্টর অসুখ হওয়ার কারণ কী কী? কী বলছেন চিকিৎসকরা-
- আগে যেমন লাইফস্টাইল ছিল, তেমন এখন আর নেই। এই লাইফস্টাইল মোটেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। তাই সহজেই হার্টের অসুখের কবলে পড়তে হচ্ছে কম বয়সেই।
- এছাড়া বংশে হার্টের অসুখের সমস্যা থাকলেও এই প্রবণতা দেখা যায়। তাই প্রথম থেকেই সাবধান থাকা উচিত।
- একটানা অনেকক্ষণ চেয়ারে বসে কাজ। যার জেরে সেভাবে ব্যায়াম করা হয় না। হার্টের অসুখের কবলে পড়ার অন্যতম কারণ এটি।
- ফল এবং শাকসবজির বদলে প্যাক করা খাবার খাওয়ার ঝোঁক কম বয়সিদের মধ্যে বেশি। এটিও অন্যতম কারণ।
- যাঁরা ইতিমধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের শিকার তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেশি।
- শরীরে মেদ জমতে দেওয়া বা ভুঁড়ি হয়ে যাওয়া মোটেই হার্টের পক্ষে ভাল নয়।
- এছাড়া যাঁরা নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপান করেন তাঁদের র্হাট অ্যাটাকের রিস্ক কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
কম বয়সে ঠিক কী কী করলে হার্টের অসুখ এড়ানো সম্ভব? চিকিৎসকরা কী বলছেন, জানুন-
- প্রথমেই ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করতে হবে।
- অতিরিক্ত তেল জাতীয় ও ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। রাস্তার জাঙ্ক ফুড যচটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে।
- নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, যোগ, ব্যায়াম ইত্যাদি করতে হবে।
- ৩০ বছরের পর থেকেই নিয়মিত রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন। বংশে ডায়াবেটিস থাকলে আরও আগে থেকে সাবধান হোন।