সংক্ষিপ্ত
প্রবাসী পূবাঞ্চলীয়দের ছট পুজোর রঙিন স্ন্যাপশটে এখন মুখরিত সামাজিক মাধ্যমগুলি। কিন্তু জানেন কি ছট পুজোয় পুরোহিত লাগে না কেন ?
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ছট পুজো। শুধুমাত্র বিহার , উত্তরপ্রদেশই নয়। পূর্বাঞ্চলের গন্ডি পেরিয়ে ছট পুজো এখন পালিত হয় ঝাড়খান্ড ওড়িশ্যা এবং নেপালেও। এমনকি শুধু তাই না পূর্বাঞ্চলীয়রা যেখানেই থাকুন না কেন এইসময় তারা প্রত্যেকেই মাতেন ছট মায়ের আরাধনায়। শুধু দিল্লি বা মুম্বাইতেই নয় প্রবাসী পূবাঞ্চলীয়দের ছট পুজোর রঙিন স্ন্যাপশটে এখন মুখরিত সামাজিক মাধ্যমগুলি। কিন্তু জানেন কি ছট পুজোয় পুরোহিত লাগে না কেন ?
ছটের সময় ভক্তরা সূর্যের উপাসনা করেন। সূর্য অন্যান্য দেব-দেবীর থেকে একটু আলাদা। অন্যান্য দেবদেবীদের বাস্তবিক অস্তিত্ব না থাকলেও সূর্য কিন্তু দৃশ্যমান দেবতা। তাকে প্রতক্ষ্য করা যায়। তাই তার আরাধনার সময় কারুর মধ্যস্থতার প্রয়োজন হয়না।
বৈদিক নিয়ম অনুযায়ী পুজোতে কোনো অর্ঘ্য প্রদানের জন্য যাজকের বা পুরোহিতের প্রয়োজন হয়। অর্ঘ্য দেবার অর্থ হলো কাউকে নির্দ্বিধায় কিছু দেওয়া। অর্থাৎ আপনি অর্ঘ্য দিয়ে ঈশ্বরের পুজো করছেন মানে আপনি নিজের কোনো বাসনা পূরণের জন্য ঈশ্বরকে ডাকছেন । পুজোতে অর্ঘ্য দিয়ে তার বিপরীতে যজমান ঈশ্বরের থেকে যা চান তাই পান। পূজা সম্পর্কে এমনই ধারণা প্রচলিত ছিল বৈদিক যুগ থেকে। পৌরাণিক কাহিনী গুলি ঘাঁটলেও পাওয়া যায় যে কর্ণ , অর্জুন ও রাবন কোনো বিশেষ উদেশ্য সাধনের আগে আরাধনা করতেন ।
ছটের সময় ভক্তরা নিজেরাই সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করেন মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে। আসলে তারা এইভাবে সূর্যের কাছে নিজেদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গ্রামীণ কৃষিজীবীরা যেমন সবকিছুর জন্যই সূর্যদেবতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ঠিক তেমনই ভক্তরাও ছট পুজোর মাধ্যমে সূর্যের কাছে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভক্তরা বিশেষত অস্তগামী বা উদীয়মান সূর্যের পূজা করেন। এটি ধর্মীয় উৎসবের থেকেও বেশি সাংস্কৃতিক বা আধ্যাত্বিক উৎসব। তবে ছট অনুষ্ঠানের মধ্যস্ততা করতে কেউ যদি চান তাহলে পুরোহিতের সাহায্য নিতে পারেন। সামাজিক মতে এটি একেবারেই নিষিদ্ধ নয়।তবে বেশিরভাগ ভক্তরা নিজেরাই সূর্য দেবতা ও তাঁর স্ত্রী উষা বা ছঠ মাইয়ার সঙ্গে প্রকৃতি, জল এবং বাতাসেরও পূজা করেন।
মূলত এইপুজার মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপাদানগুলির সংরক্ষণের বার্তাও দেওয়া হয়।ছোট পূজার সময় জলাশয় পরিষ্কার করা হয় যা একটি পরিবেশ-বান্ধব মূলক কার্যকলাপ। এছাড়াও এটি বিশ্বাস করা হয় যে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় মানবদেহে সৌরশক্তি প্রবেশ করে যা নিরাপদ বা ইতিবাচক জীবনের ইঙ্গিত দেয়। বিজ্ঞান বলে সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয়ের সময় সূর্যরশ্মিতে সবচেয়ে কম অতিবেগুনি রশ্মি থাকে। তবে এই পুজোয় বিশুদ্ধতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভক্তদের স্নান করে পবিত্র হয়ে , আত্মসংযম করে তবে করতে হয় এই পুজো।
নাবালিকাদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, ৬৯৪ পাতার চার্জশিট ধর্মগুরু শিবমূর্তি মুরুগার বিরুদ্ধে
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমিয়ে কাশ্মীরের উন্নয়নে বিশেষ নীতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের