সংক্ষিপ্ত
আজকাল বাজারে এতরকমের, এত রংয়ের, এত স্টাইলের লিপস্টিক বেরিয়েছে, যে পকেট বাঁচানো দায়। কোনোটা ন্যুড, কোনোটা ম্যাট, কোনোটা গ্লসি-কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবেন। ইচ্ছে করে সব একসঙ্গে কিনে ফেলতে।
ছোট্ট টিপ, হালকা লিপস্টিক, আর...। সাজের এটা বেসিক চাহিদা। আজকাল বাজারে এতরকমের, এত রংয়ের (Different Colors), এত স্টাইলের (Different Styles) লিপস্টিক (Lipstick) বেরিয়েছে, যে পকেট বাঁচানো দায়। কোনোটা ন্যুড (naude), কোনোটা ম্যাট (matt), কোনোটা গ্লসি (glosy)-কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবেন। ইচ্ছে করে সব একসঙ্গে কিনে ফেলতে। কিন্তু মানি ব্যাগের কষ্টটাও যে বুঝতে হবে। তাহলে উপায়। একই লিপস্টিকে আপনি পেতে পারেন ক্রিম, গ্লসি আর ম্যাট ফিনিশের স্টাইল- ভাবছেন ইয়ার্কি করছি। একদমই না। চলুন জেনে নিই, কীভাবে আপনার চেনা লিপস্টিক দিয়ে তিন রকম স্টাইল পেতে পারেন।
গ্লসি লিপস্টিক স্টাইল
ঠোঁটে লিপস্টিক পরুন স্বাভাবিকভাবে। তারপর উপর আর নিচের ঠোঁটের ঠিক মাঝামাঝি ট্রান্সপারেন্ট শিমারি গ্লস পরে নিন। মাঝখানে গ্লস পরলে লিপস্টিক ধেবড়ে যাবে না, দারুণ গ্লসি ফিনিশ পাবেন।
টিন্টেড লিপ বাম
রিং ফিংগার অর্থাৎ অনামিকায় অল্প একটু লিপস্টিক নিয়ে ঠোঁটে পরুন। সবসময় অনামিকাই ব্যবহার করবেন, কারণ এই আঙুলের জোর সবচেয়ে কম। যেহেতু আপনি স্বচ্ছ ফিনিশ চাইছেন, তাই আঙুল দিয়েই লিপস্টিক পরুন। সরাসরি পরতে গেলে রং গাঢ় হয়ে যাবে। এবার উপরে স্বচ্ছ লিপ বাম বুলিয়ে নিন। তাতে রংটা স্পষ্ট হবে, খুব সুন্দর টিন্টেড ফিনিশ পাবেন।
পাউডার ম্যাট
লিপব্রাশে অল্প লিপস্টিক নিয়ে ঠোঁটে পরুন। ব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক পরলে তা ঠোঁটের আউটলাইন অনুযায়ী একদম নিখুঁত হবে। টিস্যু চেপে বাড়তি চকচকে ভাবটা তুলে দিন। এবার দ্বিতীয় কোট লিপস্টিক পরুন, ফের টিস্যু চেপে বাড়তি অংশ তুলে ফেলুন। পাউডার ম্যাট ফিনিশের জন্য খুব সামান্য লুজ পাউডার ঠোঁটে দিয়ে নিন। ব্যাস আপনার পারফেক্ট ম্যাট ফিনিশ লুক রেডি।
লিপস্টিক ব্যবহারের পদ্ধতি
ঠোঁট আকর্ষণীয় করতে সবার আগে ঠোঁট পরিষ্কার করে নিন। প্রথমে স্ক্রাবিং করে নিন। তারপর ব্যবহার করুন লিপ বাম।
এবার টিস্যু পেপার দিয়ে ঠোঁট মুখে নিন। হালকা করে ড্যাপ করে লিপ বাম (Lip Bam) মুছে নিন। হালকা করে পাউডার লাগান।
এবার লিপ লাইনার (Lip Liner) দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিন। ঠোঁটের চারদিক আঁকার সময় খুব ধীরে ধীরে লিপ লাইনার ব্যবহার করবেন। সরু ঠোঁট মোটা করতে কিংবা মোটা ঠোঁট সরু করুন এই সময়। সঠিক ভাবে আঁকুন ঠোঁটের চারদিক।
এবার তুলিতে করে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগান। তুলিতে করে লাগালে, ভালো ভাবে ফুটে উঠবে লিপস্টিক। লিকুইড লিপস্টিক ব্যবহারের সময় অল্প করে লিপস্টিক নেবেন। তা না হলে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।
ঠোঁটের চারিদিকে কনসিলার (Concealer) লাগান। তুলিতে করে কলনসিলার ব্যবহার করবেন। এতে ঠোঁটের চারদিক পরিষ্কার দেখাবে, ফলে আরও আকর্ষণীয় লাগবে ঠোঁট।
সব শেষে দাঁত পরিষ্কার করে নেবেন। লিপস্টিক যেন দাঁতে না লাগে, সেই দিকে খেয়াল রাখুন। দাঁতে লিপস্টিক লাগলে পুরো সাজটাই মাটি। তাই এই দিকে খেয়াল রাখুন।