সংক্ষিপ্ত
- আমেঠিতে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন বিজেপি নেতা
- প্রাক্তন এই গ্রাম প্রধান স্মৃতি ইরানির ঘনিষ্ঠ ছিলেন
- বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে
- রাজনৈতিক কারণে হত্য়া করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ
শনিবার গভীর রাতে আমেঠিতে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে, নিজের বাড়িতেই খুন হলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন গ্রাম প্রধান সুরেন্দ্র সিং। স্মৃতি ইরানির ঘনিষ্ঠ এই নেতা, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯-এ আমেঠিতে বিজেপির জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। রবিবার সকালে এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আমেঠির জামো থানার অন্তর্গত বারাউলিয়া গ্রামে থাকতেন সুরেন্দ্র সিং। অতীতে এই গ্রামেরই প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। আমেঠির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, শনিবার রাত বা রবিবার ভোর ৩টের সময় তাঁর বাড়িতে এসে চড়াও হয় ওই দুষ্কৃতীরা। গরমকাল বলে বাড়ির উঠোনেই শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন সুরেন্দ্র সিং। ঘুমের মধ্যেই বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। তারপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে গুলি লাগার পরও বেঁছে ছইলেন ওই বিজেপি নেতা। তাঁকে লখনউ-এর ট্রমা সেন্টারেও নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পুলিশের মতে , তিনি প্রাক্তন গ্রাম প্রধান। তাই কোনও বিষয় নিয়ে গ্রামের কারোর তাঁর উপর পুরনো রাগ থাকতে পারে। তবে এই খুনের পিছনে রাজনৈতিক রোষ থাকার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। আমেঠিতে দীর্ঘদিন বাদে কংগ্রেস পরাজিত হয়েছে। স্বয়ং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী পরাজিত হয়েছেন স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে। সুরেন্দ্র সিং আবার স্মৃতি ইরানির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ভোটের সময়, স্মৃতির হয়ে ব্যাপক প্রচার করেন। জয়ের পর গ্রামে মিস্টিও বিলিয়েছিলেন।
পুলিশ সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখলেও তাঁর আত্মীয় পরিজন ও স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা সরাসরি একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার খুন বলেই দাবি করছেন। রবিবার সকালে এলাকায় এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই দলে দলে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা সুরেন্দ্র সিং-এর বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছেন। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিনের নেহরু-গান্ধী দুর্গে ভাঙন ধরাতেই কংগ্রেস মরিয়া হয়ে এই রাজনৈতিক হত্যা করেছে। তবে তাদের ক্ষোভে যাতে এলাকায় অশান্তি না ছড়ায় তার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনীও মজুত রয়েছে গ্রামে।
বিজেপি নেত্রী তথা সদ্য এলাহাবাদ থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া রিতা বহুগুণ জোশীও কে রাজনৈতিক হত্যা বলেই দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গণতন্ত্রে এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। লোকতন্ত্রে এই হিংসার জায়গাই নেই। দোষীরা কড়া শাস্তি পাবেন বলেও দাবি করেছেন বিজেপি নেত্রী। তবে স্মৃতি ইরানি এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।