সংক্ষিপ্ত

  • পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে আমফান সমস্যা নয়
  • জেলায় বড় সমস্যা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে
  •  পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এমনই বললেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী
  •  মঙ্গলবার মেদিনীপুরে হাজির হয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়  

শাহজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর :  পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মহকুমার ঘাটালে এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ প্রথম বৈঠক করেন ৷ পরে সেখানে তথ্য তুলে হাজির হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসকের দফতরে ৷ সেখানে পূর্ণাঙ্গ তথ্য তুলে বৈঠকে ধরা পড়ে জেলার সমস্যা আমফান নয়, সমস্যা প্রচুর প্রবেশ করা পরিযায়ী শ্রমীক নিয়ে ৷ প্রায় ৩৬ হাজার পরিযায়ী শ্রমীকদের আশ্রয় দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও কর্মসংস্থান খাদ্যই বড় ব্যাপার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷ 

আমফানের ফলে পশ্চিম মেদিনীপুরেও ক্ষতি হয়েছে ৷ ২১ হাজারেরও বেশি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। কোথাও আংশিক আংশিক ও পুরোপুরি ৷ প্রশাসনিক হিসেবে দু লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৷ বিদ্যুত পরিস্থিতি সব স্থানে স্বাভাবিক হয় নি মঙ্গলবার পর্যন্ত ৷ রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাই হাজির হয়েছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৷

জেলাতে ঘাটালে বৈঠকের পরে মেদিনীপুর শহরে জেলা শাসকের দফতরে বৈঠক করেন তিনি ৷ যেখানে জেলা শাসক থেকে পুলিশ সুপার , সাংসদ মানস ভুঁইঞা সমস্ত বিধায়ক ও জন প্রতিনিধি, বিডিও , এসডিও-রা উপস্থিত ছিলেন ৷ বৈঠকে করে জেলার অপর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দাঁতনে বেরিয়ে যান মন্ত্রী ৷ সেখানেও কিছুটা ঘুরে দেখে বৈঠক করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,আধিকারিকদের সঙ্গে ৷ 

বৈঠকের পরে মন্ত্রী বলেন-" পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পরিস্থিতি অন্য জেলার থেকে খারাপ নয় ৷ তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে পান চাষের মতো কিছু চাষে ৷ এখানে বড় মাথা ব্যাথা পরিযায়ী শ্রমীকদের নিয়ে ৷ তাদের কোয়ারেন্টাইন  করা, আর্থিক ভাবে স্থিতিশীল করা জেলার বড় সমস্যা ৷ এখানে তাই রাস্তা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একশো দিনের কাজ বাড়াতে হবে ৷ এই প্রকল্পেই বাংলা আবাস যোজনার কাজ করতে হবে ৷ রাজ্যের মুর্শিদাবাদের পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরে পরিযায়ীর ভিড় স্থান পাবে ৷ তাই তাদের জন্য একশো দিনের কাজের পরিমাণ বাড়িয়ে আর্থিক সহযোগিতা করা যাবে ৷ তবে কেন্দ্রের সাহায্য পর্যাপ্ত নয় পরিস্থিতি সামাল দিতে ৷ "

গত একমাসের বেশি সময় ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে পরিযায়ী শ্রমীক প্রবেশ করছে ৷ শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নয়, অন্য জেলার শ্রমীকরাও প্রতিবেশী রাজ্য গুলি থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ওপর দিয়ে প্রবেশ করছে ৷ যাদের সকলেরই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেই ছাড়া হয়েছে বাড়ির জন্য ৷ তবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা শ্রমীকদের কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে বিভিন্ন স্থানে ৷ তাদের পরিচর্যা করছে প্রশাসন ৷ জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন - মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে প্রবেশ করা মোট পরিযায়ী শ্রমীক ৩৬ হাজার ৷ যাদের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছে ৷ করা হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ৷ খাওয়ার ব্যাবস্থাও করেছে প্রশাসন ৷