সংক্ষিপ্ত
- কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ
- করোনা আতঙ্কে কপাল খুলে গেল বন্দিদেরও
- সংশোধানাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছে তারা
- খুশির হাওয়া মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে
শাহাজাহান আলি, মেদিনীপুর: কথায় বলে, কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ। করোনা আতঙ্কে কপাল খুলে গেল বন্দিদেরও! মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগার থেকে আসামীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আদালত নিযুক্ত কমিটি। কেউ প্যারোলে ছাড়া পাচ্ছেন, তো কাউকে আবার সরাসরি জামিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংশোধানাগারের সুপার সুদীপ বসু জানিয়েছেন, প্য়ারোলে যাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনার ভয়কে জয় করল রসনা, সুস্থ হয়েই মুম্বই ফিরতে মরিয়া রায়গঞ্জের যুবক
জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দির সংখ্যা কমবেশি প্রায় হাজার দেড়েক। এক-একটি ওয়ার্ডে গাদাগাদি করতে থাকতে হয় সকলেই। এখনও পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। কিন্তু সংক্রমণ ছড়াতে কতক্ষণ! আগাম সতর্কতায় ২৪৯ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত নিযুক্ত হাইপাওয়ার কমিটি। সূত্রের খবর, যাদের সাজার মেয়াদ চোদ্দো বছর পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদের আপাতত তিনমাসের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হবে। আর যারা চোদ্দো বছরে কম সময় সংশোধানাগারে রয়েছে, তাদের প্য়ারোলের মেয়াদ একমাস। এখানেই শেষ নয়। যাঁরা এখন প্যারোলের সংশোধনাগারে বাইরে রয়েছে, তাঁদের সময়সীমাও আরও একমাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মেদিনীপুরে করোনা সংক্রমণ যে হারে ছড়াচ্ছে, তাতে বন্দিদের প্য়ারোলের সময়সীমা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর করোনা গোপন স্বামীর, হোম কোয়ারেন্টাইনে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন কর্মী
এ তো গেল সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের কথা। আদালতে অপরাধের বিচার চলছে, মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারে এমন আসামীর সংখ্যাও তো কম নয়। তাদের কী হবে? স্রেফ করোনা আতঙ্কের কারণ দেখিয়ে জামিন পেয়ে গিয়েছে ৪৭২ জন। এর আগে সবদিক বিবেচনা করে আরও ১১৫ জনের জামিনে আবেদন মঞ্জুর করে দেয় আদালত নিযুক্ত কমিটি।