সংক্ষিপ্ত

  • দুঁদে পুলিশকর্তা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী
  • প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক অবনীমোহন জোয়ারদার
  • কলকাতার বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি
  • টুইটে পরিবারকে সমবেদনা মুখ্যমন্ত্রীর
     

মৌলিককান্তি মণ্ডল: অসুস্থ ছিলেন দীর্ঘদিন। অবশেষে জীবনযুদ্ধে হার মানলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী অবনীমোহন জোয়ারদার। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কলকাতার বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্য়াগ করলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক। টুইট করে পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: রেলের মানবিকতার 'মাশুল', স্পেশাল ট্রেনে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের শিশুসন্তানের

কর্মজীবনে ছিলেন রাজ্য়ের দুঁদে পুলিশকর্তা। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর পা রাখেন রাজনীতির জগতে।  অল্পদিনেই তৃণমূল সুপ্রিমো নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাষয়ের বিশ্বস্ত সৈনিক হয়ে ওঠেন অবনীমোহন জোয়াদার। যে বছর রাজ্যে পালাবদল ঘটল, সেই ২০১১ সালে প্রথমবার ভোটে দাঁড়ান তিনি। নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভাকেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন প্রাক্তন এই পুলিশকর্তা।  একই কেন্দ্র থেকে জয়ের ধারা অব্যাহত ছিল, ২০১৬ সালের নির্বাচনেও। এবার আর শুধু বিধায়ক নয়, অবনীবাবুকে কারাদপ্তরের দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ততদিনে শরীর ভাঙতে শুরু করেছে। অসুস্থতার কারণে খুব বেশিদিন দায়িত্ব সামলাতে পারেননি তিনি। বছর দেড়েক মধ্যে মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যাহত দেওয়া হয়। কারাদপ্তরের মন্ত্রী হন কৃষ্ণনগর দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস।

আরও পড়ুন: কৃষ্ণাঙ্গ বিতর্ক এবার বাংলায়, 'বর্ণবিদ্বেষী পাঠ' দিয়ে সাসপেন্ড সরকারি স্কুলের দুই শিক্ষিকা

কৃষ্ণনগরের উকিলপাড়ার ভাড়াবাড়িতে থেকে কাজকর্ম করতেন বিধায়ক অবনীমোহন জোয়ারদার। থাকতেন কলকাতাতেই। শুক্রবার ভোরে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নামে রাজনৈতিক মহলে। দলের বর্ষীয়ান নেতা ও বিধায়কের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।