সংক্ষিপ্ত
- রাত ন'টা নাগাদ হাতির দলকে লোকালয় থেকে জঙ্গলে পাঠানো হচ্ছিল
- দলের সঙ্গে দ্রুত পালাতে পারেনি হস্তিশাবক
- ট্রেন লাইন পার হওয়ার সময় মাল গাড়ি ধাক্কায় মৃত্যু হস্তিশাবক টির
- রাতে জঙ্গলমহলে ফের ধীরে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত
জঙ্গলমহলে রাতের বেলা ফের ধীর গতিতে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত রেল দপ্তরের। মঙ্গলবার রাতে ট্রেনের ধাক্কায় হস্তিশাবক এর মৃত্যুর পর নতুন করে উদ্যোগ নিতে হচ্ছে দপ্তরকে। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই জঙ্গলমহলে হাতির লোকেশন দেখে ট্রেনের গতিপথ নির্ধারিত হবে। বনদপ্তর এর সঙ্গে রেল দপ্তরের যোগাযোগ আরো দৃঢ় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বুধবার।
গত এক সপ্তাহ ধরেই পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা শালবনি এলাকা থেকে আসা হাতির দল তাণ্ডব চালাচ্ছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেলে অজিত মাইতি নামে এক কৃষক চাষের কাজ করার সময় হাতির হামলায় পড়েছিলেন। গড়বেতার বড়জাম এলাকায় আহত ওই কৃষক রাতেই মারা যান গড়বেতা হাসপাতালে। ওই দিনই আরো এক কৃষক হাতির দ্বারা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দেখে জ্ঞান হারিয়ে মাঠে পড়েছিলেন।
পরপর এই ধরনের ক্ষতি দেখে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ তীব্র হচ্ছিল। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ সামাল দিতে, মঙ্গলবার রাতেই হাতির পাল কে তাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে। রেল দপ্তরকে তেমনভাবে না জানিয়েই স্থানীয় হুলা পাটিরা এই হাতির পাল কে তাড়াচ্ছিলেন। ওই সময়ই হাতির দলে থাকা একটি হস্তিশাবক কুড়চিবনি এলাকায় মাল গাড়ির সামনে পড়ে গিয়েছিল। ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছিল শাবকটি। বনদপ্তর উদ্ধার করে চিকিৎসা শুরু করলেও রাতেই মৃত্যু হয়েছিল শাবকটির।
ঘটনার পরে রেল ও বনদপ্তর এর যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বুধবার বনদপ্তর এর সঙ্গে রেলের আধিকারিকদের এ বিষয়ে কথা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গড়বেতা ও শালবনিতে হাতির থাকাকালীন রাতের ট্রেনের গতিবেগ কমানো হবে। প্রতিদিন বিকেলের আগে হাতির অবস্থান চিহ্নিত করে রেল দপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে। প্রতিটি বিষয়ে হাতির অবস্থান সম্বন্ধে মুহূর্তে আপডেট জানাবেন বনকর্মীরা।