সংক্ষিপ্ত
- শালবনের জঙ্গলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড
- পুড়ে নষ্ট হয়ে গেল বহু শালগাছ
- বন্যপ্রাণীদেরও বিপদের আশঙ্কা
- পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোনার ঘটনা
কেউ কি ইচ্ছা করে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিল? পুড়ে ছাই হয়ে গেল এক হেক্টরের বেশি বন্যভূমি। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি হয়েছে বহু শালগাছের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোড এলাকায়।
আরও পড়ুন: জঙ্গল থেকে বেরোতেই বিপদ, কুকুরের তাড়া খেয়ে খাল পড়ল হরিণ
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার রোড ও শালবনী মাঝে বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে শালগাছের জঙ্গল। এলাকাটি আড়াবাড়ির জঙ্গল নামে পরিচিত। বুধবার সন্ধেবেলা আচমকাই আগুন লেগে যায় জঙ্গলে। শুকনো পাতায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন যখন পৌঁছায়, ততক্ষণে পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে হিমশিম খান দমকলকর্মীরা। শেষপর্যন্ত আগুন নেভে বৃহস্পতিবার ভোরে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, শালগাছের তো ক্ষতি হয়েইছে, চন্দ্রকোনার আড়াবাড়ির জঙ্গলে আবার হাতি, হরিণ ও বন্য শূকরও দেখতে পাওয়া যায়। বন্যপ্রাণীরা বিপদে পড়েনি তো? সেই সম্ভবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদি তেমনটা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে প্রাণ বাঁচাতে জন্তুদের লোকালয়ে ঢুকে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শিকার করা কিংবা কাঠ সংগ্রহের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে জঙ্গলে আগুন লাগানো হয়েছে। বস্তত, গত দু'মাসে চন্দ্রকোনা ও শালবনি এলাকার জঙ্গলে কিন্তু বেশ কয়েকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন: গ্রামের রাস্তায় পেখম মেলেছে ময়ূর, শোরগোল বেলদায়
এদিকে বুধবার রাতে আবার চন্দ্রকোনার গোঁসাই বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে বিশাল আকৃতিক একটি খসিড় সাপ উদ্ধার করল বনদপ্তর। বাড়িতে সাপটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় সুলতাননগর বিট অফিসে খবর দেন সৌরভ দে নামে এক ব্যক্তি। শারীরিক পরীক্ষার পর সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।