সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের ঘটনা
- বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে দাম্পত্য কলহ
- স্ত্রীর হাতে খুন স্বামী
- ঘুম ভেঙে ভয়াবহ দৃশ্যের সাক্ষী তিন বছরের মেয়ে
প্রতিনিয়ত একই কথা, একই সন্দেহ আর মারধর। প্রায়ই দিনই চলত একই ঘটনা। স্বামী স্ত্রী আর এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসারে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে অশান্তির সূত্রপাত। ক্রমেই যা সহ্যের সীমা অতিক্রম করছিল। দিনের পর দিন স্বামীর হাতে অত্যাচারিত হতে হতে অবশেষে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল স্ত্রীর। স্বামীর উপর তীব্র ক্রোধের বশে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করলো স্ত্রী ।
শনিবার মাঝ রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড়ের লোগি নোয়ারি গ্রামে। নিহত যুবকের নাম ফকির মান্ডি (২৭)। অভিযুক্ত ফকিরের স্ত্রী মালতীকে গ্রেফতার করেছে গোয়ালতোড় থানার পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় দিনমজুর ফকির মান্ডির সন্দেহ ছিল যে তাঁর স্ত্রীর কোনও অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে প্রায়ই বাড়িতে অশান্তি হতো। শনিবার রাতেও এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল বাঁধে। গন্ডগোলের মাঝেই ফকির মান্ডি তাঁর স্ত্রীকে একটি লোহার রড দিয়ে মারধর করেন। পরে যখন স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন, তখন স্ত্রী মালতী বাড়িতে রাখা একটি ধারালো কাটারি দিয়ে ফকিরের গলায় কোপ মারে। কাটারির আঘাতের জেরে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ফকির।
সকালে ঘুম থেকে উঠে বাবার রক্তাক্ত দেহ ও মায়ের নিথর হয়ে বসে থাকা দেখে কাঁদতে কাঁদতে প্রতিবেশীদের কাছে যায় দম্পতির তিন বছরের শিশুকন্যা। কী হয়েছে খোঁজ নিতে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন এক প্রতিবেশী। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় গ্রামে। ছুটে আসে ভিলেজ পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোয়ালতোড় থানার পুলিশও। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত মালতীকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাকে। রবিবারই আদালতে পেশ করে মালতীকে চারদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।