সংক্ষিপ্ত

একদিকে পাক জঙ্গিদের ঠেকাচ্ছে ভারতীয় সেনা

আবার উপত্যকায় মহামারি পরিস্থিতিও সামলাচ্ছে

এই অবস্থায় হামলায় অপেক্ষায় অন্তত ৩০০ জন পাক সন্ত্রাসবাদী

তবে বোমা-গুলি নিয়ে তারা আসবে না, কৌশল অন্য

পাক সীমান্তের ওপারে জঙ্গি শিবিরে অন্তত ৩০০ জন সন্ত্রাসবাদী ভারতে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের গায়ে আত্মঘাতি বোমা বাঁধা নেই, রয়েছে করোনাভাইরাস। এমনটাই দাবি করেছে বিজেপি। এর সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি পাকিস্তানকে হুমকির সুরে বলেছে, 'আজকাল কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী লঞ্চ প্যাডেই জঙ্গি এবং তাদের সমর্থকদের খতম করা পছন্দ করে, তাই সাবধান'।

জম্মু ও কাশ্মীরে শুধু চলতি মাসেই ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২৫ জনেরও বেশি জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। এই হিসাব দিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, 'পেশাদারিত্ব এবং সুরক্ষা বাহিনীর কঠিন মনোভাবটি এর থেকেই অনুমান করা যেতে পারে'। দলের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার অনিল গুপ্তা জানিয়েছেন, ২৬ এপ্রিল যে সপ্তাহ শেষ হয়েছে, সেই এক সপ্তাহেই নিহত জঙ্গির সংখ্যা ১৪। 'এটাই সুরক্ষা বাহিনীর উচ্চ মনোবল এবং উচ্চমানের শারীরিক সুস্থতা ও প্রশিক্ষণের ইঙ্গিত দেয়'।

তিনি আরও বলেছেন, করোনাভাইরাসের হুমকির মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী হয়তো একটু ঢিলেঢালা মনোভাবে তাকবে বলে আশা করেছিল পাকিস্তান। পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে করোনার আতঙ্ককে ভারতীয় সেনা তাদের পরিচালন দক্ষতার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে তো দেয়ইনি, বরং সেনাবাহিনী অনুপ্রবেশ বিরোধী জালকে এতটাই শক্তিশালী করেছে এই সময়ে, যে পাক সেনা সমর্থিত সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের সবকটি প্রচেষ্টাই নিয়ন্ত্রণরেখাতেই ব্যর্থ হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার গুপ্তার মতে ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কর্মকর্তাদের কৃতিত্বেই এই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে। একদিকে তাঁরা এই নবগঠিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে করোনাভাইরাস মহামারি যাতে বিস্তার লাভ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করছে, আবার সেই সঙ্গেই জঙ্গি অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে সেদিকেও কড়া নজর রাখছে।

তবে এরপরেও পাকিস্তান দমেনি বলেই দাবি করেছেন বিজেপির এই মুখপাত্র। তাঁর মতে পাকিস্তান এই মুহূর্তে ভারতে হামলার কৌশল বদলে ফেলেছে। বোমা হাতে জঙ্গিনয়, বরং শরীরে কোভিড-১৯ নিয়ে তাকা জঙ্গিদের পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁরর দাবি, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারেই জঙ্গি লঞ্চ প্যাডে প্রায় ৩০০ সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে অনেকেই করোনাভাইরাস ইতিবাচক। তাদের মাধ্যমে উপত্যকায় করোনাভাইরাস মহামারির পরিস্থিতি বিগরে দিয়ে ভারতীয় সেনাকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে তারা। বলে যোগ করেছেন তিনি। তবে তাঁর এই দাবির সূত্র কী, তা অবশ্য তিনি জানাননি।