সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের রাজনীতিতে ধ্বস এখন ও বহাল। অনাস্থা ভোটের হেরে গিয়েছেন ইমরান খান। এই মুহূর্তে পাক মসনদে কে বসবেন সেই দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। তবে এখনই হাল ছাড়েন নি ইমরান খান। ভোটে হারের পর পাকিস্তানে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এক ইমরান খানই নন তাঁর সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ, সেনাদের বিরুদ্ধে তুলেছেন স্লোগান ও। 
 

পাকিস্তানে ইমরান খানের গদি নিয়ে অনাস্থা চলছিল প্রায় অনেকদিন ধরেই। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষ অনাস্থা ভোটগ্রহণ হয় এবং সেই ভোটে হেরে ইমরান সরকারের পতন হয় পাকিস্তানে। রাতারাতি ইসলামাবাদ ত্যাগ করেন ইমরান খান। এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রীকে  আস্থা ভোটে হেরে গদি ছাড়তে হয়নি। তবে ক্ষমতা হারালে ও চুপ করে বসে থাকেন নি ইমরান খান। রবিবার পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।  ইমরান খান জানিয়েছেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছিল ঠিকই। তবে এবার পাকিস্তানের স্বাধীনতার এক অন্য লড়াই শুরু হল। পাক শাসন পরিবর্তনে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে নতুন করে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হল।' পাশাপাশি ইমরান খান এও জানিয়েছেন যে সব সময় দেশের মানুষ তাদের সার্বভৌম্যত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করে। আর ইমরান খানের এই বক্তব্যের প্রতিচ্ছবি দেখা গেল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। 

এদিন ইমরান খানের সমর্থনে পাকিস্তানের রাস্তায় নেমেছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। আর এই সমাবেশেই পাকিস্তানের প্ৰাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন এমন সময় স্লোগান ওঠে 'চৌকিদার চোর হ্যায়। ইমরান খানের আদেশ অপহৃত করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এই স্লোগান উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর শেখ রাশিদ আহমেদ জনগণকে এই ধরণের স্লোগান তুলতে মানা করেন এবং বলেন তারা শান্তির সঙ্গে এই লড়াই চালিয়ে যাবেন। 

 

যদিও ভারতবাসী এই স্লোগানটির সঙ্গে পূর্ব পরিচিত।  একসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এই স্লোগান তুলেছিল কংগ্রেস।  ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারে এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই স্লোগান তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। এমন কি এই স্লোগানের জন্য রাহুল গান্ধীকে আইনি ঝঞ্ঝার মধ্যে ও পড়তে হয়েছিল। পরবর্তীকালে তিনি ক্ষমা চাওয়ায় বিষয়টি ঠান্ডা হয়ে যায়। এবার সেই একই স্লোগানই উঠলো পাকিস্তানে ও।  

এদিন সেক্ষ রাশিদ আহমেদ জানিয়েছেন যে, চলতি মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যাবে। সবশেষে মধ্যরাতের অনাস্থা ভোটের কথা উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, 'দেশকে বাঁচাতে চাইলে রাতের আঁধারে নয়, দিনের আলোয় বেরিয়ে এসে সিদ্ধান্ত নিন।' সেইসঙ্গে কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, '২৯ তারিখ ইদের দিন তৈরি থাকুন। ওইদিন 'জেল ভরো' আন্দোলন শুরু করব আমরা। আমি নিজে করাচি থেকে এর নেতৃত্বে থাকব।'