সংক্ষিপ্ত

  • ভারত-পাক সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনা 
  • ভারতের সঙ্গে  ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলবে পাকিস্তান
  • ট্যুইট করে জানাল পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র 
  • করোনা মোকাবিলায় সার্ক দেশগুলিকে একসঙ্গে কাজ করার আর্জি নরেন্দ্র মোদির

ভারত-পাক সম্পর্কের বরফ কি গলতে পারে? তেমনই কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবেদনে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের  মুখপাত্র জানিয়েছেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করা হবে। পাশাপাশি জানান হয়েছে করোনা মোকাবিলায় সার্ক দেশগুলির ভিডিও কনফারেন্সে তাঁরাও অংশ নেবে। গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনার প্রকোপ রুখতে ট্যুইটারে সার্ক দেশগুলির যৌথ উদ্যোগে কাজ করার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। সেখানেই তিনি বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যেই  কথা বলে একে অপরের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করা যেতে পারে। সার্ক দেশ গুলি যদি যৌথ উদ্য়োগে কাজ করে, তবে তা গোটা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তারই উত্তরে পাল্টা ট্যুইট করেন পাকিস্তানের বিদেশ সচিবের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে তাঁরা রাজি। 

 

কিন্তু পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেবে না। তাঁর মনোনীত ব্যক্তি ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলবেন। ইমরান খানের  স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা কথা বলতে পারেন।   ওই ট্যুইটে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই জরুরী বৈঠক ডেকেছেন ইমরান খান। কথা বলা হয়েছে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সঙ্গেও। 

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী সার্কভুক্ত দেশগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১২৬। যারমধ্যে পাকিস্তানের আক্রান্তের সংখ্যা কুড়িরও বেশি। আক্রান্তের সংখ্যায় প্রথমেই রয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতে সার্কভুক্ত দেশগুলি করোনা মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্ধ করে দিয়েছে আফগান সীমান্ত। ইরান থেকে জরুরি ভিত্তিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তীর্থ যাত্রীদের।