সংক্ষিপ্ত
ভিডিওটিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বলতে শোনা গেছে এই ঠান্ডার সময় তাঁর পরিবার আর ছোট ছোট শিশুরা রাস্তায় রয়েছে। তাদের যদি কিছু হয় তাহলে দায়ি থাকবে মুজাফফরবাবাদের পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ কমিশনারকেও তিনি দায়ি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জমিও বর্তমানে পাকিস্তান সরকার কেড়ে নিচ্ছে।
পাকিস্তানে (Pakistan) হিন্দু (Hindu) ও শিখদের (Sikh) ওপর অত্যাচার এখনও অব্যাহত রয়েছে। হিন্দু মন্দিরে (Hindu Temple) ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি হামলা চালান হচ্ছে শিখদের ওপরেও। মন্দিরে হমলার পাশাপাশি জমি বাড়ি কেড়ে নেওয়ার মত গুরুতর অভিযোগও উঠছে। পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের (Pakistan Hindu) অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের মদতেই এই ঘটনা ঘটছে। তেমনই একটি ভিডিও সম্প্রতি সামনে এসেছে। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে জানুয়ারির প্রবল শীতে একটি গোটা পরিবার খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে পুলিশ। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পরিবারকে রাস্তায় বার করে দিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ (Pakistan Police)।সেখান থেকেই ভিডিওটি শ্যুট করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সেই পরিবারের প্রধানকে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) বলতে দেখা গেছে। দুঘণ্টার মধ্যে জমি ফিরে না পেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) তিনি ফোন করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি পাকিস্তানের পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি সরাসরি ভারত সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেই ব্যক্তির অভিযোগ তাঁকে বেআইনিভাবে ঘর থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি তাঁর পরিবারের আর শিশু সদস্যদের নিয়ে রাস্তা এসে দাঁড়িয়েছেন। অধ্যাপক সাজিদ রাজা নামে এক ব্যক্তির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। ২ মিনিট ৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ফুটে উঠেছে পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু ও শিকদের ওপর চলা নির্যাতনের কাহিনি।
ভিডিওটিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বলতে শোনা গেছে এই ঠান্ডার সময় তাঁর পরিবার আর ছোট ছোট শিশুরা রাস্তায় রয়েছে। তাদের যদি কিছু হয় তাহলে দায়ি থাকবে মুজাফফরবাবাদের পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ কমিশনারকেও তিনি দায়ি করেছেন। তিনি আরও বলেছেন উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জমিও বর্তমানে পাকিস্তান সরকার কেড়ে নিচ্ছে।
টুইটার ব্যবহারকারী সাজ্জাদ রাজা আরও বলেছেন যে কারণই হোক না কেন একটি পরিবারকে শীতের দিনে রাস্তায় বার করে দেওয়া ঠিক হয়নি স্থানীয় পুলিশের। তিনি আরও বলেছেন বাড়িটি নিয়ে কিছু আইনি সমস্যা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও এজাতীয় ঘটনা মানবতাহীন বলেও দাবি করেছেন তিনি। তবে আদালত বাড়িটিতে তালা ঝোলানোর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে।
যাইহোক সম্প্রতি পাকিস্তানে হিন্দু ও শিখদের ওপর যে নির্যাতন চলছে তা ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে। একাধিক হিন্দুমন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু কিছু মন্দির সংস্কারের কাজে ধুমধামের সঙ্গে করে পাকিস্তান প্রশাসন গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এজাতীয় ভিডিও সামনে আসতেই পাক প্রশাসনের ব্যার্থ হয়ে যায়।
পেট্রাপোল সীমান্তে BSF-এর জোরদার তল্লাশি, দুদিনে ধরা পরড় ৮২টি জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স
পেরিয়েছে ৭৭টা বছর, খোঁজ মিলল আনা ফ্রাঙ্কের সেই ‘বিশ্বাসঘাতকের’
নোবেল জয়ী লেখক মার্কেজের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক প্রকাশ্যে, কন্যা ইন্দিরা কথা জানাল পরিবার