সংক্ষিপ্ত
সার্কুলার জানাচ্ছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদের সঙ্গে অনুচ্ছেদ ৫৮(১) এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়েছেন পাক রাষ্ট্রপতি। এরফলে কোনও ভাবেই আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে নেই ইমরান খান।
শেষ রক্ষা হল না। পাকিস্তান সরকারের জারি করা সর্বশেষ সার্কুলার অনুসারে ইমরান খান আনুষ্ঠানিকভাবে আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন। সার্কুলার জানাচ্ছে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদের সঙ্গে অনুচ্ছেদ ৫৮(১) এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়েছেন পাক রাষ্ট্রপতি। এরফলে কোনও ভাবেই আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে নেই ইমরান খান।
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি খানের পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নোটটিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে ইমরান খান আর প্রধানমন্ত্রী নন এবং সরকার দেশের আমলাতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হবে।
এদিকে বিরোধীরা ১৯৫ সদস্যের সমর্থনে পিএমএল-এন নেতা শেহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিরোধীরা আয়াজ সাদিককে স্পিকার হিসেবে নিয়োগ করেছে যিনি ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে পুনরায় বৈধতা দেন।
বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে বিরোধীরা। সোমবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রেখে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল বলেছেন, জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি যে সমস্ত আদেশ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা আদালতের আদেশ সাপেক্ষে হবে।
তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাজ্যের রাজধানীতে রাজনৈতিক ঘটনাবলীতে কোনো ভূমিকা নিতে অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার প্রধান মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার বলেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই।
বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার অর্থ হল পরবর্তী সরকার নির্বাচনের জন্য তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানের রাজনীতির ইতিহাসে কোনো প্রধানমন্ত্রী পূর্ণ মেয়াদ শে, করতে পারেননি।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে নয়া পাকিস্তান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ বা পিটিআই প্রধান ইমরান খান। এরপর ২০২২ সালে আচমকা ভোলবদল করে পিটিআইয়ের পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় দুই শরিক। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইমরানের দল।
গত সপ্তাহেই ইমরান খান ও তাঁর তেহরিক ই ইনসাফ পার্টি পাকিস্তান সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ৩৪২ আসনের পাকিস্তান সংসদে ক্ষমতা দখলের ম্যাজিক ফিগার ১৭৫। সাত জন সাংসদ দল বদল করায় বিপাকে পড়েছেন ইমরান। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।