সংক্ষিপ্ত

ভারতের দুর্ঘটনাবশত ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের (Accidental Missile Fire) জেরে আরেকটু হলেই লেগে যেতে পারত ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) যুদ্ধ। কী জবাব দিতে যাচ্ছিল পাকিস্তানি বায়ুসেনা?

ভারতের দুর্ঘটনাবশত ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের (Accidental Missile Fire) জেরে আরেকটু হলেই লেগে যেতে পারত ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) যুদ্ধ। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বিষয়টির সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওই ভুল করে ছুটে যাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিশোধ নিতে, ভারতকে লক্ষ্য করে একই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে তৈরি হচ্ছিল পাকিস্তান। যা শেষ পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্ভাব্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারত। 

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জানিয়েছে, ভারতে আঘাত হানতে পাকিস্তান একই রকম একটা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু, প্রাথমিক মূল্যায়নে তারা ইঙ্গিত পেয়েছিল, যে, কিছু একটা গন্ডোগোল রয়েছে। পাকিস্তানি বিমান বাহিনী (Pakistani Air Force) ক্ষেপণাস্ত্রটির উড়ান পথ ট্র্যাক করে দেখেছিল, সেটি উত্তর ভারতের সিরসা (Sirsa) শহর থেকে পাক পঞ্জাবের (Pakistan Punjab Province) মিয়া চান্নু শহরে (Miya Channu City) এসে পড়েছে। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তানের কিছু আবাসিক সম্পত্তির ক্ষতি করে, তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাই শেষ পর্যন্ত পাল্টা আঘাতের পথে যায়নি তারা। 

তবে, ভুল করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরও যে পাকিস্তানি পক্ষকে অবহিত করার জন্য ভারত, উভয় পক্ষের শীর্ষ সেনা কমান্ডারদের মধ্যের সরাসরি হটলাইন ব্যবহার করেনি, সেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। এতে আরও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারত। ভারতীয় বায়ুসেনার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুলটি হওয়ার পরই যাতে আর কোনও উৎক্ষেপণ না ঘটে, তার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। 

গত ৯ মার্চ, উত্তর ভারতের আম্বালা (Ambala) থেকে একটি ব্রাহ্মোস মাঝারি-পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (BrahMos Medium-range Cruise Missile) ভুল করে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে যুদ্ধের জন্য সবসময় প্রস্তুত রাখার জন্য, সেগুলির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। আর সেই সময়ই মানব ও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে বায়ুসেনার একটি সূত্র। তবে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি তার নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছায়নি বলেই জানা গিয়েছে। কারণ, সেটিতে কোনও ওয়ারহেট সংযুক্ত ছিল না। শান্তিকালীন সময়ে ভারত, পারমাণবিক ওয়ারহেড এবং ডেলিভারি মেকানিজম আলাদা করে রাখে। এগুলি থাকে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের (Strategic Forces Command) অধীনে।

এর আগে, এক বিবৃতিতে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের প্রেক্ষিতে এই 'গুরুতর প্রকৃতির ঘটনাকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে'। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি (Shah Mahmood Qureshi), গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদে (Islamabad) বলেন, পাকিস্তানি বিমানবাহিনী যদি এই দুর্ঘটনাবশত নিক্ষেপের সমান প্রতিক্রিয়া দিত, তাহলে দুই দেশের মানুষের উপর তার গুরুতর প্রভাব পড়তে পারত। পরিণতি মোটেই ভাল হত না।