সংক্ষিপ্ত
পানামা পেপারস মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণাকারী পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের অংশ ছিলেন বিচারপতি আহমেদ। পানামা পেপারস মামলার বিভক্ত রায়ে আহমেদ তার নন কনফর্মিস্ট নোট দিয়ে শিরোনাম তৈরি করেছিলেন।
রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের নয়া পদক্ষেপ। সোমবার তিনি বেছে নিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদকে। গুলজার আহমেদ আপাতত পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক বা কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার একদিন পরে এবং পাক রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি খানের পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন।
কে এই গুলজার আহমেদ
পাকিস্তানের ডন সংবাদপত্র অনুসারে, গুলজার আহমেদ ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ সালে পাকিস্তানের ২৭তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আহমেদ ১৯৫৭ সালের দোসরা ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। করাচির সরকারি ন্যাশনাল কলেজ থেকে কলা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তারপর করাচির এসএম ল কলেজ থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন। আহমেদ ১৯৮৬ সালের ১৮ জানুয়ারী একজন উকিল হিসাবে নথিভুক্ত হন। ১৯৮৮ সালের চৌঠা এপ্রিল হাইকোর্টে যোগদান করেন এবং ২০০১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হন। ১৯৯৯-২০০০ সালে তিনি করাচির সিন্ধু হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের অনারারি সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
তিনি প্রধানত সিভিল কর্পোরেট সেক্টরে প্র্যাকটিস করেন এবং বিভিন্ন বহুজাতিক এবং স্থানীয় কোম্পানি, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আইনী উপদেষ্টা ছিলেন। আহমেদ করাচির সিন্ধ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির এবং সিন্ধু হাইকোর্ট, করাচির আইটি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
পানামা পেপারস মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণাকারী পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের অংশ ছিলেন বিচারপতি আহমেদ। পানামা পেপারস মামলার বিভক্ত রায়ে আহমেদ তার নন কনফর্মিস্ট নোট দিয়ে শিরোনাম তৈরি করেছিলেন।
এদিকে, রবিবারই পাকিস্তান সরকারের জারি করা সর্বশেষ সার্কুলার অনুসারে জানা যায় ইমরান খান আনুষ্ঠানিকভাবে আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন। সার্কুলার জানায় ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদের সঙ্গে অনুচ্ছেদ ৫৮(১) এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়েছেন পাক রাষ্ট্রপতি। এরফলে কোনও ভাবেই আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে নেই ইমরান খান।
প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি খানের পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নোটটিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে ইমরান খান আর প্রধানমন্ত্রী নন এবং সরকার দেশের আমলাতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হবে।