সংক্ষিপ্ত
একটি মাত্র সুযোগ পেয়ে সেটাকেই কাজে লাগালেন দক্ষ বোলারের মত। ক্রিকেট মাঠের মতই ইমরান খানের সুইং-এ বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বিরোধী শিবির। নিজেকে প্রমাণ করতে ইমরানের হাতে আর মাত্র তিন মাস সময়।
ইমরান খানের সুইং-এ কুপোকাত পাকিস্তানের বিরোধী শিবির। একটাই চান্স পেয়ে সেটাকেই কাজে লাগেলেন তিনি। যদিও আগেই জানিয়েদিয়েছিলেন, 'আমি ক্রিকেটার। একটা সময় ক্রিকেট খেলেছি। যারা আমাকে জানে, তারা এটাও জানে যে আমি শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করি।' সেই সঙ্গে তিনি এতে জানিয়েছিলেন রাজনীতির ময়দানেও তার অন্যথা হবে না। একদম তুখড় ফাস্ট বোলারের মতই ইমরান খান ভেঙে দিলেন পাকিস্তানের সংসদ। পাকিস্তানের জনতার হাতেই ছাড়ে দিলেন পাকিস্তানের ভাগ্য। অনাস্থা ভোট ভেস্তে যাওয়ার পরেই ইমরান খান নিজের মূর্তি ধারণ করলেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই তিনি আগামী দিনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। আস্থাভোটে মুখোমুখি হওয়ার পর থেকেই ইমরান খান অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিরোধীরা। তিনি পাকিস্তানের জন্য একটি স্বাধীন বিদেশ নীতি চেয়েছিলেন। যা দেশের উন্নতির জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিদেশী দেশগুলি তা চায়নি। বিরোধীদের কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের ক্ষতি করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন ইমরান খান।
এক নজরে দেখে ইমরান খানের কেরামতিঃ
১. জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে ইমরান খান বলেন, সরকার পতনের চক্রান্ত ভেস্তে গেছে। তারপরই দেশের মানুষকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে বলেন তিনি। তিনি বলেন ৯০ দিনের মধ্য়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২. পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি খারিজ করে দেন। তিনি এটিকে পাকিস্তানের সংবিধান ও নিয়মের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন।
৩. যদিও বিরোধী দলগুলি পাকিস্তানের ডেপুটি স্পিকারের এই নির্দেশকে অসাংবিধাকিনিক বলে চিহ্নিত করেছে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলেও জানিয়েছে।
৪. পাকিস্তানের বিরোধী নেত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, যদি অনাস্থা প্রস্তাব সফল হয় তাহলে ইমরান খানকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তারা পদক্ষেপ করতে পারতেন।
৫. পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলেছেন, ইমরান খান জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। রাষ্ট্রোদ্রিহীতা ও সংবিধানের অবমাননার জন্য তাঁর বিরুদ্ধ বিচার হওয়া জরুরি।
৬. বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। পাল্টা সরকার পক্ষও সুপ্রিম কোর্টে গেছে। সোমবার প্রথম শুনানি হবে।
৭. পাকিস্তান সরকার একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে ইমরান খান আর প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। পাকিস্তানে কেয়ারটেকার সরকার চলবে।
৮. গতসপ্তাহে ইমরান খান ও তার দল তেহরিক ই ইনসাফ পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তাদের ৭ জন সংসদ বিরোধীদের সঙ্গে চলে গেছে।
৯. যদিও ক্ষমতাসীন দলের এক ডজনেরও বেশি সংসদ পাকিস্তান সংসদে ক্রসভোট দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যা ইমরানের পতন ডেকে এনেছিল।
১০. পাকিস্তান সেনা বাহিনী বলেছে, দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তাদের কিছুই করার নেই। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনালের কামার জাভেদ বাজওয়া গত সপ্তাহে দুবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
তবে মনে রাখতে হবে পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট মেয়াদ পুরণ করতে পারেননি। ইমরান পাকিস্তানের মসনদে বসেছিলেন ২০১৮ সালে। সেক্ষেত্রে তিনিও তাঁর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না। আগেই তাঁকে সরে যেতে হল।
বানরের 'পিৎজা খাওয়ার' গল্প, ভাইরাল ভিডিওতে মজে রয়েছে নেটদুনিয়া
'সামনে থেকে লড়াই করব', জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আমেরিকা ও ভারতকে একহাত নিলেন ইমরান
ইমরান খানের ভাষণে ভারতীয় সাংবাদিকের কথা, উঠে এল কাশ্মীর প্রসঙ্গও