সংক্ষিপ্ত
- আটের দশকে আফগানিস্তান দখল করেছিল সোভিয়েত রাশিয়া
- সেই সময় তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য মুজাহিদিনদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাকিস্তান
- আর তার জন্য অর্থ দিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ
- জঙ্গি তকমা মুছতে অদ্ভুত স্বীকারোক্তি করলেন ইমরান খান
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর, তা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে ভারত। তারপর থেকে যে পাকিস্তানের উপর চাপ বেড়েছে তা স্পষ্ট বোঝা গেল ইমরান খানের সাম্প্রতিক মন্তব্যে। পাকিস্তানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রশ্ন এবার সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর দিকে ঘুরিয়ে দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। করলেন গুরুতর অভিযোগ, যার কারণে নতুন করে মার্কিন প্রশাসনের রোষেও পড়তে পারে পাকিস্তান।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ইমরান জানিয়েছেন গত শতাব্দীর আটের দশকে পাকিস্তানই আফগান মুজাহিদিনদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। আর তার জন্য অর্থের জোগান দিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ সিআইএ। সেই সময় আফগানিস্তান দখল করেছিল সোভিয়েত রাশিয়া। তাদের হাত থেকে আফগানিস্তানকে মুক্ত করতেই এই মুজাহিদিনদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ইমরান আরও জানিয়েছেন, এর কয়েক দশক পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা এসে সেই মুজাহিদিনদেরই জঙ্গি বলে ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। সেই সময় পাকিস্তানও মার্কিন প্রশাসনকে সহায়তা করেছিল। যা বর্তমান পাক প্রধানমন্ত্রীর মতে ভুল পদক্ষেপ ছিল। এর জন্যই আফগান মুজাহিদিনরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঘুরে গিয়েছে।
পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি পাকিস্তান জঙ্গিদের মদত দেয় না। বরং পাকিস্তানই এই আফগান মুজাহিদিনদের সন্ত্রাসের শিকার। মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে নামার পর থেকে পাকিস্তানের ৭০০০০ মানুষ এই মুজাহিদিনদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের শিকার হয়েছেন। তাঁর দেশের ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এরপরেও আফগান যুদ্ধে মার্কিন সেনার সফল না হওয়ার জন্য দায়ী করা হয় পাকিস্তানকে। বলা হয় সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের সদিচ্ছা নেই। এটা মোটেই ঠিক নয়, তাঁর দেশের প্রতি অবিচার বলে দাবি করেছেন ইমরান খান।