সংক্ষিপ্ত
এক ইঞ্জেকশন নেওয়ার পরই নার্সরা হয়ে গিয়েছিলেন ফেরেস্তা।
২০১৩ সালে পিঠে চোট পাওয়ার পর এমনটাই ঘটেছিল।
ফের বিতর্কিত মন্তব্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের।
নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়লেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি), ফের এক বিতর্কিত মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ২০১৩ সালে মঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়ার পর, তাঁকে ডাক্তাররা তাকে একটি ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন। তাতে তাঁর ব্যথাও কমে যায়, এবং তাঁকে পরিচর্যা করছিলেন যে নার্সরা তাঁদের দেখে মনে হচ্ছিল তাঁরা ফেরেস্তা বা দেবদূত। মহিলাদের নিয়ে এই অবমাননাকর মন্তব্যের জেরেই নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
বরাবরই ইমরান খান-এর 'লেডিকিলার' ভাবমূর্তি রয়েছে। একের পর এক মহিলার বুকে কাঁপন ধরিয়েছেন একসময়। এদিন এক অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিও-তে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন তিনি মঞ্চ থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে শওকত খানুম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পিঠের হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণে তাঁর অসম্ভব ব্যথা হচ্ছিল। তবে ডাক্তাররা তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দিতেই তাঁর সমস্ত ব্যথা দূর হয়ে যায়। আর নার্সরাও সেই সময় একেকজন ফেরেস্তা হয়ে গিয়েছিলেন।
এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন পাক সাংবাদিক নাইলা ইনায়ত। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ইমরানের এই বক্তৃতার পরের অংশটির আরও একটি ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে প্রকাশিত হয়। সেখানে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, ইনজেকশনটি তার দেহে প্রবেশ করার পর ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর 'স্মৃতি'-ও উধাও হয়ে গিয়েছিল। সেইসময় তিনি কী বলেছিলেন তা তাঁর মনে নেই।
তবে ইনজেকশনের প্রভাব চলে যাওয়ার পর ফের ব্যথা ফিরে আসে। তখন চিকিৎসক ও নার্সদের ফের ইঞ্জেকশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, তাঁর কথা না শুনলে কঠিন পরিণতি হবে বলে হুমকিও দিয়েছিলেন। তবে ডাক্তাররা তাঁর কথা শোনেননি।
পরে পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জন্য নেটিজেনরা তীব্র ব্যঙ্গে কটাক্ষে বিদ্ধ করেন ইমরান খান-কে। নার্সদের কাজে কী পরিমাণ ঝুঁকি ও দায়িত্ববোধ থাকে তা তিনি জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন একজন। কেউ আবার বলেছেন, তাঁকে ডাক্তাররা এমন কী ইনজেকশন দিলেন, যাতে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়লেন? কেউ কেউ আবার সরাসরি বলেছেন, তাঁর মন্তব্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।