সংক্ষিপ্ত
- বিমান অবতরনের সময় বিপত্তি।
- রানওয়েতে বুনো শুকরের সঙ্গে সংঘর্ষ বিমানের।
- প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
- সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দাবি নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি ছিল না।
অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল এতিহাদ এয়ারওয়েজের একটি পাকিস্তানগামী বিমান। এতিহাদ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে ইসলামাবাদে অবতরণের সময় তাদের এয়ারবাস এ ৩২০-র সঙ্গে রানওয়েতে একটি বুনো শুকরের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ল্যান্ডিং-এর সময় বিমানটি ভারসাম্য হারিয়ে বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারত। তবে চালকের দক্ষতায় স্বাভাবিকভাবেই বিমানটি নেমে আসে।
এতিহাদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসলামাবাদের রানওয়ে ২৮ এল-এ নামছিল তাদের বিমানটি। সেইসময়ই চালক অনুভভব করেন বিমানের সঙ্গে কোন প্রাণীর সংঘর্ষ ঘটেছে। কিন্তু, মুহূর্তেই ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে বিমানটির অবতরণ অব্যাহত রাখেন তাঁরা। কোনও দুর্ঘটনা ছাড়াই হিমানটি নেমে আসে। পরে রানওয়েতে কোঁজ করতে গিয়ে একটি বুনো শুকরের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এই ঘটনার পর ইসলামাবাদ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে প্রতিবেদনে পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি আঁটসাঁট নিরাপত্তার মধ্যেই বুনো শুকরটি বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় ঢুকে পড়ে। বন্দরের বাইরে যে পাঁচিল রয়েছে তারই নিচ দিয়ে মাটি খুঁড়ে ওই বুনো শুকরটি রানওয়েতে চলে আসে বলে দাবি তাঁদের।
তবে কোনও বিমানের সঙ্গে প্রাণীর সংঘর্ষের ঘটনা পাকিস্তানে এটাই প্রথম নয়। গত বছর ডিসেম্বরেই, করাচি যাওয়ার সময় আরও একটি পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স-এরই এয়ারবাস এ৩২০-র একটি পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পাখিটি সরাসরি বিমানটির ডানদিকের ডানাতে ধাক্কা মেরেছিল। তাতে বিমানটির যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছিল। তবে এতিহাদের বিমানটির বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ওই দিনই ফের দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিমানটি।