সংক্ষিপ্ত

আফগানিস্তানের জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিল পাকিস্তান। বুধবার মুক্তি দেওয়া হল তালিবানদের এক বিভক্ত গোষ্ঠীর নেতা মোল্লা মহম্মদ রসুল-কে। 
 

আফগানিস্তানের বিশৃঙ্খলা আরও বাড়াতে, বুধবার হঠাৎ তালিবানদের এক বিভক্ত গোষ্ঠীর নেতা মোল্লা মহম্মদ রসুল-কে মুক্তি দিল পাকিস্তান। গত রবিবার, ১৫ অগাস্ট, আশরাফ ঘানি প্রশাসনের পতন ঘটে। আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালিবানরা। এর মাত্র কয়েকদিন পরই, পাঁচ বছর ধরে কারাগারে থাকা মোল্লা রসুলকে মুক্তি দেওয়া হল। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে পাক-আফগান সীমান্তের বেলুচিস্তান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। 

২০১৩ সালে তালেবান গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যু হলেও, সেই খবর প্রকাশ করা হয়২০১৫ সালে। খবরটি চেপে রেখেছিল তালিবান নেতা মোল্লা মহম্মদ মনসুর, যিনি নিজেকে পরবর্তী তালিবান প্রধান বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু, তার কর্তৃত্বকে অস্বীকার করেছিল মোল্লা মহম্মদ রসুল।  ২০১৫ সালে নভেম্বরে আফগানিস্তানের পশ্চিম ফারা প্রদেশে তালিবান যোদ্ধাদের এক সভায় রসুলের নেতৃত্বে তালিবানদের মূল গোষ্ঠী ভেঙে একটা অংশ বেরিয়ে এসেছিল। রসুলই সেই বিভক্ত গোষ্ঠীর নেতা নির্বাচিত হয়েছিল। রসুলের সমর্থকরা, মনসুরের বিরুদ্ধে, ব্যক্তিগত স্বার্থে আন্দোলন ছিনতাই এবং পাকিস্তানের নির্দেশে কাজ করার অভিযোগ এনেছিল। এমনকী মনসুরের বিরুদ্ধে মোল্লা ওমরের মৃত্যু ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছিল।   

আরও পড়ুন - Pakistan - মহিলা টিকটকারকে নিয়ে শূন্যে লোফালুফি, ছিড়ে গেল পোশাক, কলুষিত স্বাধীনতা দিবস

আরও পড়ুন - তালিবানদের উৎখাতের স্বপ্ন দেখাচ্ছে 'পাঁচ সিংহে'র উপত্যকা - জড়ো হচ্ছে নর্দান অ্যালায়েন্স

আরও পড়ুন - Afghanistan - স্বমূর্তি ধরল তালিবান, প্রকাশ্যে প্রতিবাদীদের উপর চলল নির্বিচারে গুলি, দেখুন

২০১৬ সালে পাক সরকারের হাতে বন্দি হওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত মোল্লা মনসুরের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল মোল্লা রসুল। রসুলের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত তালিবান গোষ্ঠী, আফগান সরকারের সাথে শান্তি আলোচনারও বিরোধিতা করেছিল। সে জেলে থাকাকালীনই তালিবান গোষ্ঠীর দায়িত্ব নিয়েছে হিবাতুল্লা আখুন্দাজা। সে তালিবানদের সমস্ত বিভক্ত গোষ্ঠীকে একত্রিত করার জন্য খ্যাত। আফগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতায় ফেরার কয়েকদিন পরই মোল্লা মোহাম্মদ রসুলের মুক্তি আফগানিস্তানের বর্তমানে পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। রসুল কী তাঁর বিভক্ত গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের নিয়ে বর্তমান তালিবান নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও লড়াই চালিয়ে যাববেন, নাকি তালিবানি মূল স্রোতে ফেরার পথ তৈরি করেন, সেটাই দেখার। 

YouTube video player