সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ জাতীয় সংসদের স্পিকার আসাদ কায়সার এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থ প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেননি।

পাকিস্তান সংসদে দিনভর টানটান উত্তেজনা যেকোনও একদিনের ক্রিকেটকেও হার মানাতে পারে। ইমরান খান যে এখনও শেষ বল পর্যন্ত মাঠ না ছাড়ার ক্ষমতা রাখেন তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন এদিন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এদিন পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের অধিবেশন হয়। কিন্তু দিনভর দফায় দফায় সংসদ মুলতবি হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত আস্থা ভোট গ্রহণ করা হয়নি। বিরোধীদের চাপ বাড়িয়ে গোটা দিনই সংসদে হাজিরা পর্যন্ত দেননি ইমরান খান। 


স্পিকার জাতীয় সংসদের অধিবেশন ডেকে ছিলেন। হাজির ছিল সরকার ও বিরোধী পক্ষ। কিবেতি হাজির হননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সূত্রের খবর রাতেই তিনি তাঁর বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। পাকিস্তান রাজনৈতিতে গুঞ্জন ইমরান এড়িয়ে যেতে চাইছেন আস্থাভোট। সংসদে উপস্থিত হলেই ইমরান খানকে সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমান দিতে হবে। কিন্তু ৩৪২ আসনের পাকিস্তান সংসদে আগেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারিয়েছেন ইমরান। পাকিস্তান সংসদে ক্ষমতা ধরে রাখার ম্যাজিক ফিগার ১৭২। 

অন্যদিকে এদিন সরকার পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে খারিজ করার জন্য ডেপিটি স্পিকারের রায়কে অসাংবিধানিক বলে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ইমরান খান সরকার। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় একপেশে রায়। এই রায় খারিজ করা জরুরি। 

এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যরাতে পাকিস্তানের পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ জাতীয় সংসদের স্পিকার আসাদ কায়সার এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থ প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেননি। 

গত একসপ্তাহ ধরে পাকিস্তানে রাজনৈতিক সংকট চলছে। বিরোধীরা আগেই ইমরান খানের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। কিন্তু ইমরান খান আস্থা ভোটে না গিয়ে পাকিস্তানের সংসদই ভেঙে দিয়েছিলেন। পরিবর্তে তিনি সাধারণ নির্বাচনের রাস্তায় হেঁটেছিলেন। বিরোধীরা ইমরানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারপরই সুপ্রিম কোর্ট শনিবার ইমরানকে আস্থাভোটের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। 

পাকিস্তানের বিরোধী নেত্রী মারিয়ম নওয়াজ শরিফ ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব এড়াতে ও নাশকতার চেষ্টা করার জন্য তীব্র সমালোচনা করেছে। শনিবার সকালে জাতীয় পরিষের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও প্রস্তাব পেশ করা হয়নি। অন্যদিকে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এদিনই পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমান দিতে হবে ইমরান খানকে। বৃহস্পতিবারই সেদেশের  সুপ্রিম কোর্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া আর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সাধারণ নির্বাচনের কথা ঘোষণা- দুটিকেই অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে।