করোনামহামারির উদ্বেগের সময় পাশে পাকিস্তান  পাশে থাকার বার্তা হাজির ইমরান খান  বার্তা দিয়েছেন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও  নাগরিকরাও ভারতের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে  

মারাত্মক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতীয় জনগণের পাশে রয়েছেন। তেমনই জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইরমান খান। বিশ্বব্যাপী মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে থাকবেন বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার কয়েক জন্য সদস্যও ভারতের করোনা মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গ আছড়ে পড়ায় রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন। 

Scroll to load tweet…

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছিল। অক্সিজেনের চাহিদা ও সংকটও সামনে আসছিল। নোটজমানায় সেই খবরও পৌঁছে গিয়েছিল সীমান্তের ওপারে। এমনই কঠিন পরিস্থিতি ভারতে পাশে দাঁড়ানো অক্সিজেন সরবরাহের দাবি জানিয়ে আসছিলেন কাঁটাতারের বেড়ার ওপারের মানুষজন। পাকিস্তানেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করতে শুরু করেছিল- পাকিস্তান উইথ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ফাইটস কোভিড, ইন্ডিয়া নিডস অক্সিজেনের মত বন্ধুত্বপূর্ণ হ্যাসট্যাগ। দেশবাসীর এই দাবি আর অগ্রাহ্য করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী ইমরান। তাই তিনিও সেই পথে হেঁটেই করোনাভাইরাসের এই মারাত্মক মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমরান। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন মানবতার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

যদিও একাধিক বিষয় নিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তেমন মধুর নয়। কিন্তু মহামারির এই সংকটতম সময় ইমরানের মতই তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও ভারতের পাশে থাকার বার্তা জানিয়েছে টুইট করেছেন। পাকিস্তানের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতে আক্রান্ত কোভিড রোগীদের আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করেছেন। তিনি লিথেছেন এই কঠিন সময় তাঁদের প্রার্থনা ভারতের সঙ্গে রয়েছে। আবার বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তপরিবারগুলির প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করার সময় সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। 

YouTube video player

ভারতের করোনা এই সংকটের অক্সিজেনের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তা দেখে পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স একটি বিবৃতি জারি করে সমস্ত সাধারণ অস্ত্রপোচার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার পাকিস্তানের এডি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে মহামারির এই সময় ভারতে সাহায্য় করার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী দল ও ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স ভারতে পাঠাতে চেয়েছে বলেও জানা গেছে।