পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সমস্যায় ভুগছে ভারতএই অবস্থায় সাহায্যের প্রস্তাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রীতবে ভারতের মতোই একই সমস্যার ভুগছে তারাওতাই তিনি কীকরে সহায়তা করবেন, বুঝতে পারছেন না কেউ

লোক হাসাতে চাইলেন, না বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চাইলেন, নাকি চলমল গদি সামলাতে পাক জনতার সামনে পাকিস্তানকে শক্তিশালি প্রমাণ করতে চাইলেন - ঠিক স্পষ্ট হল না। কিন্তু, সকলকে অবাক করে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বললেন, পরিযায়ী শ্রমিক সঙ্কট মোকাবিলায় তিনি ভারতের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান।

বৃহস্পতিবার ইমরান খান একটি টুইট করে, ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা নিয়ে এক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। সঙ্গে লেখেন, প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৩৪ শতাংশ পরিবার আর্থিক সহায়তা ছাড়া এক সপ্তাহের বেশি জীবন ধারণ করতে পারবে না। তাই তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্তরে প্রশংসিত পাকিস্তানের সরাসরি নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প ভাগ করে নিতে তিনি প্রস্তুত। সেই প্রকল্প মারফত ভারতীয় শ্রমিকদের হাতে তিনি নগদ পৌঁছে দেবেন, না ভারতকে পাকিস্তানের ওই প্রকল্প সম্পর্কে জানাবেন তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

Scroll to load tweet…

ইমরান খান যে সংবাদ প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন, তাতে বলা হয়েছে, ৮৪ শতাংশ ভারতীয় পরিবারের আয় কমেছে লকডাউনের জন্য। এই গবেষণাটি করেছেন পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় এবং মুম্বইয়ের ভারতীয় অর্থনীতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (সিএমআইই)-এর আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। এই গবেষণার তথ্যে কোনও ভুল নেই।

তবে, ভারতের এই সমস্যায় পাকিস্তান কীভাবে সহায়তা করতে পারে তাই ভেবে পাচ্ছেন না কেউ। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ভারতের মতো একই ধরণের সমস্যায় ভুগছে পাকিস্তান। সেখানকার এক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী করোনাভাইরাস রুখতে জারি করা লকডাউন ও বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে ১৮.৫৩ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ৮৫ লক্ষেরও বেশি পাকিস্তানি নাগরিকের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এই অবস্থা তৈরি হতে পারে তা অবশ্য পাক প্রধানমন্ত্রী আগেই আশঙ্কা করেছিলেন। গত মার্চেই ইমরান খান বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে তাঁর দেশে পাশ্চাত্য দেশগুলির মতো বড় আকারের লকডাউন জারি করা সম্ভব নয়। তাতে করে ইতিমধ্য়েই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তানের অর্থনীতি একেবারে পঙ্গু হয়ে যাবে। সাফ জানিয়েছিলেন 'করোনার হাত থেকে বাঁচলেও পাকিস্তানিরা ক্ষুধার জ্বালায় মরবে'। সেই ইমরান খানই এখন ভারতকে কীকরে সহায়তার কথা বলছেন, তাই বোধগম্য হচ্ছে না অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ মানুষের।