সংক্ষিপ্ত
একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন বালুর লিবারেশন আর্মি। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পঞ্জগুর ও নুশকি সামরিক ক্যাম্পের একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের হাতে। ক্যাম্পের বড় অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্যাম্পের ভিতরে পাকিস্তানি সেনার অবস্থান দুর্বল করা হয়েছে।
জঙ্গি (Terrorist) হানায় রক্তাক্ত হল পাকিস্তান (Pakistan)। জঙ্গি সংগঠন বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (Baloch Libaration Army) বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের দুটি সেনা ক্যাম্পে (Army Camp)হামলা চালিয়েছে বলে দায় স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে শতাধিক সেনার মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের অভিযোগ এই নাশকতার পিছনে হাত রয়েছে চিনের (China)। অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan )বর্তমানে চিন সফরেই রয়েছে। তিনি শীতকালীন অলিম্পিক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেজিংএ গেছেন। সূত্রের খবর তাঁর বেজিং রওনা হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নাকি এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সেনার তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বালুচিস্তান প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পাকিস্তানের সেনা বাহিনীর দুটি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় চার জন সেনা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গিও নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী অবশ্য বলেছেন সশস্ত্র বাহিনীর দুটি ক্যাম্পে হামলা চালান হয়েছে। প্রবল গুলির লড়াই চলছে। সেনা বাহিনী জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে এই হামলার চালান হয়েছে।
অন্যদিকে বালুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএফ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা রয়টার্সকে জানিয়েছে সেনা ক্যাম্পে তারাই হামলা চালিয়েছে। ৫০ জন সেনাকে তারা হত্যা করেছে বলেও স্বীকার করে নিয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন বালুর লিবারেশন আর্মি। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পঞ্জগুর ও নুশকি সামরিক ক্যাম্পের একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের হাতে। ক্যাম্পের বড় অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্যাম্পের ভিতরে পাকিস্তানি সেনার অবস্থান দুর্বল করা হয়েছে। তাদের সমর্থনে আরও বাহিনী এসেছে। তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলেও ঘোষণা করেছে। বালুচ লিবারেশন আর্মির সদস্যরা আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম এই ঘটনার রিপোর্ট করতে বাধা দিচ্ছে। টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করছে না বলেও জানিয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই বালুচ জঙ্গিদের দাবি পৃথক রাষ্ট্রের। এই নিয়ে পাক সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদ চলছে। বালুচিস্তানের বাসিন্দাদের দাবি এই প্রদেশ গ্যাস ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। কিন্তু অন্যায়ভাবে পাক সরকার তাদের শোষন করে যাচ্ছে। চিন ও পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবেও এই এলাকার গুরুত্ব রয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে বালুচ বিদ্রোহীদের সমর্থন করার অভিযোগ করে দীর্ঘ দিন ধরেই।