সংক্ষিপ্ত
- কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার পাকিস্তান
- এবার উফফাঁস হল, বালুচিস্তানের বাসিন্দাদের তারা কী অবস্থায় রেখেছে
- মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন কোনওদিনই বালুচিস্তানে গণতন্ত্র ছিল না
- বালুচদের সম্পদ লুঠ করে বাকি পাকিস্তানের উন্নয়নে লাগানোর অভিযোগ উঠেছে
ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে পাকিস্তানের দরদ উথলে উঠছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদেও এই নিয়ে গলা ফাটিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ বালুচিস্তানের নাগরিকদের কী অবস্থায় রেখেছে পাকিস্তান? এবার তা ফাঁস করে ইমরানেরঅস্বস্তি বাড়ালেন বালুচিস্তান মানবাধিকার পরিষদের সহ সভাপতি হাসান হামদাম।
জেনেভাতে মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে তিনি দাবি করেছেন পাক শাসনে বালুচিস্তানে কোনও দিনই গণতন্ত্র হবলে কিছু নেই। পাক প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত নাগরিকদের অপ
হরণ করা, হত্যা করা চলে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ইসলামাহাাবাদ থেকে সেনার মাধ্যমে সরাসরি বালুচিস্তান শাসন করা হয়। আর এভাবেই বালুচিস্তানকে শোষণ করে পাকিস্তান। হামদামের অভিযোগ, বালুচিস্তানে প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব নেই। অথচ বালুচ নাগরিকরাই পাকিস্তানে আর্থিক দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা জাতি। কারণ বালুচিস্তানের নাগরিকদের নিয়ে পাক প্রশাসের কোনও ভাবাই নেই। সেখান থেকে সম্পদ লুন্ঠন করে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানের বাকি অংশের উন্নয়নের কাজে লাগানো হয়।
বালুচিস্তান মানবাধিকার পরিষদের সহ সভাপতি আরও জানিয়েছেন, বালুচ শিশুদের শিক্ষার কোনও ভাল ব্যবস্থা নেই। শিক্ষা পেয়েও অবশ্য লাভ নেই, কারণ যুবকদের জন্য কোনও চাকরিও নেই সেখানে। জল, বিদ্যুতের মতো পরিকাঠামোগত পরিষেবাগুলিও সঠিকভাবে মেলে না। মানুষের মূলগত অধিকার থেকেই বঞ্চিত করা হয় বালুচিস্তানের নাগরিকদের। আর এই জন্যই বালুচদের মধ্যে ক্রমেই বিদ্রোহীদের সংখ্যা বাড়ছে।
শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বালুচিস্তানের বুদ্ধিজীবি থেকে ছাত্র-ছাত্রী কেউ পাক প্রশাসনের এই অরাজকতার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে গেলেই তাদেরকে মুসলিম বিরোধী তকমা এঁটে বন্দি করা হয়, সাজা দেওয়া হয়। পাকিস্তানে প্রশাসনের বিরোধিতাকে ইসলাম বিরোধিতা বলে প্রচার করা হচ্ছে।