সংক্ষিপ্ত
শেহবাজ শরিফের কাঁধেই পড়বে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। কিন্তু কে এই শেহবাজ।
পাকিস্তানে পালাবদল। ক্ষমতাসীন জোটের বড় অংশের বিরোধী দলে যোগদান। এরপরেই বুধবার (৩০ মার্চ) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান। জাতীয় পরিষদে তার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে বিরোধী দলগুলি। ইমরান খানের প্রাক্তন শরিক দল, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানকে (MQM-P) বিরোধী দলে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতা এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) সভাপতি শেহবাজ শরিফ।
এই শেহবাজ শরিফের কাঁধেই পড়বে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। কিন্তু কে এই শেহবাজ। তিনি কী শুধুই জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই? জানেন কী শেহবাজের সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে?
১. শেহবাজ শরিফ নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। নওয়াজ তিনটি মেয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
২) ১৯৫১ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে মিয়ান বংশের একটি পাঞ্জাবি-ভাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা, শেহবাজের বাবা ছিলেন একজন শিল্পপতি। তাঁর পরিবার ব্যবসার জন্য কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে চলে এসেছিল। তারপরে অমৃতসরের জাটি উমরা গ্রামে বসতি স্থাপন করেছিল। দেশভাগের পর তার বাবা-মা অমৃতসর থেকে লাহোরে চলে আসেন।
৩. তিনি ২০১৮ সালের অগাস্ট থেকে জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তার ভাই নওয়াজ শরিফকে পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়। পরে শেহবাজকে পিএমএল-এন সভাপতি মনোনীত করা হয়েছিল।
৪. শেহবাজ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন যার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে পঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হওয়ার পর।
৫. শেহবাজ ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু ১৯৯৯ সালের একটি সামরিক অভ্যুত্থান জাতীয় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে, শেহবাজ এবং তার পরিবারকে সৌদি আরবে স্ব-নির্বাসনে কয়েক বছর কাটাতে বাধ্য করে।
৬. শেহবাজ ২০০৭ সালে পাকিস্তানে ফিরে আসেন। ২০১৩ সালে, তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত তার মেয়াদকাল পালন করেন। সেই বছরই তার দল সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হয়।
৭. ২০১৯ সালে, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (NAB) শেহবাজ ও তার ছেলে হামজা শরীফের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে তার ২৩টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। শেহবাজ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৭,৩২৮ মিলিয়ন টাকার সম্পদ জমা করার অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে, NAB তাকে লাহোর হাইকোর্টে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করে। ২০২১ সালের এপ্রিলে, লাহোর হাইকোর্ট তাকে জামিনে মুক্তি দেয়।