সংক্ষিপ্ত
পুজো মানেই চাই ত্বকের স্পেশ্যাল কেয়ার। হাতে সময়ও বেশি নেই। এর মধ্যেই ত্বকের পুরোনো জেল্লা ফেরাতে সকলেই কমবেশি ট্রিটমেন্ট শুরু করে দিয়েছে। পুজোর আগে বলিরেখা দূর করে কীভাবে ত্বকের জেল্লা ফেরাবেন, ট্রাই করুন এই ঘরোয়া দাওয়াই।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উৎসব হল দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই দেবী দূর্গার আগমনে চারিদিকে যেন সাজো সাজো রব। হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। সারা শহর আবার সেজে উঠবে আলোয়। করোনাকালে মহাসঙ্কট কাটিয়ে যেন ফের ছন্দে ফিরেছে আট থেকে অষ্টাদশী। পুজো মানেই চাই ত্বকের স্পেশ্যাল কেয়ার। হাতে সময়ও বেশি নেই। এর মধ্যেই ত্বকের পুরোনো জেল্লা ফেরাতে সকলেই কমবেশি ট্রিটমেন্ট শুরু করে দিয়েছে। পুজোর আগে বলিরেখা দূর করে কীভাবে ত্বকের জেল্লা ফেরাবেন, ট্রাই করুন এই ঘরোয়া দাওয়াই।
কপালে ভাঁজ পড়ছে, চোখের চারপাশ গুলোও যেন আগের থেকে কুঁচকে গেছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখা একটা বিরাট সমস্যা। আর এই বলিরেখা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়সটা যেন একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নিউট্রিশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিত্যকার ডায়েট তালিকাতেও নজর রাখুন। বয়স বাড়লেও নিজেকে ফিট রাখা ভীষণ জরুরি। ত্বকে বলিরেখা পড়লে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। ঠিকঠাক ট্রিটমেন্ট করলেই সেই সমস্যা নিমেষে সমাধান হতে পারে। অ্যান্টি এজিং ক্রিমের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার লাগানো ভীষণ জরুরি। ময়েশ্চারাইজারে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই থাকা ভীষণ জরুরি। প্রতিদিন নিয়ম করে অর্গান বা সানফ্লাওয়ার অয়েল নিয়ম করে ত্বকে লাগান। রেটিনল যুক্ত ক্রিম লাগাতে পারেন। যা ত্বকে খুব তাড়াতাড়ি মিশে গিয়ে ত্বকের মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলে। সপ্তাহে তিন দিন এটা ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক টানটান ও মসৃণ থাকবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল প্রতিদিন বলিরেখার চারপাশে লাগিয়ে শুয়ে নিন। যে কোনও ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে মিশিয়েও লাগাতে পারেন।
শুধু মাখলেই হল না, প্রতিদিনের ডায়েট তালিকায় নজর রাখুন। খাবারের তালিকায় নিজেই কিছু পরিবর্তন আনুন। প্রতিদিনের তালিকায় মাছ, মাংসের পরিমাণ কমিয়ে সব্জি, টকদই, ডাল জাতীয় খাবার খান। প্রতিদিন একগ্লাস করে দুধ খাবেন। যদি খেতে ভাল না লাগে তাহলে ছানা করে খান। নিজের উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী খাবারের তালিকা বানান। বেশি বয়স হয়ে গেলে খাবারের পরিমাণ কমান। কম বয়সে যে সমস্ত খাবার খেতেন, বেশি বয়স হলে তা কখনওই খাওয়া যায় না। বেশি বয়স হলে শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা যায়। তাই খাবার আগে একটু বুঝে শুনে তবেই খাবেন। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ব্যায়ামের জন্য বরাদ্দ রাখুন। ভোরবেলা হোক বা সন্ধ্যেবেলা নির্দিষ্ট একটা সময় ঠিক করে ব্যায়াম করুন। বয়স হয়ে গেলে যোগব্যায়াম করুন। সামান্য। ফ্রি-হ্যান্ড, এক্সারসাইজ, হাঁটাচলা করলে শরীর ভাল থাকবে। শরীরের সঙ্গে মনও ভাল রাখতে হবে। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে গেলে মনটাকেও ভাল রাখতে হবে। সকলের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। বন্ধুতের কোনও বয়স হয় না। তাই ছোট, বড় সকলের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। বেশি বয়সে পৌঁছালে একটা কথা মুখে শোনা যায়, যে ঘুম আসছে না। এটা ঠিক নয়। প্রতিদিন অন্তত ৮-৯ ঘন্টা ঘুমোনো উচিত। ঘুম পর্যাপ্ত না হলেই শরীরে হাজার ধরনের রোগ দানা বাধে। তার সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের দরকার।