সংক্ষিপ্ত
যৌনতা এখন আরও ছুৎমার্গ নয় বা যৌন সম্পর্ক নিয়ে যে খুব একটা একটা কেউ এখন ছিঃ ছিঃ করেন এমনটাও নয়। কিন্তু, তারপরও গবেষণা বলছে ভারতে যৌন সঙ্গম আজও একটা এক পাক্ষিক বিষয় হয়ে থেকে গিয়েছে। সুস্থ-সুন্দর এবং উপভোগ্য যৌন সঙ্গমের বিষয়গুলো নিয়ে কেউ ভাবেন না। অধিকাংশ পুরুষই ভাবেন যৌন সঙ্গমের খেলায় বিছানায় তিনি রাজা, তিনি বাঘ। কিন্তু, এই প্রতিবেদন সেই ভুল ভেঙে দিতে বাধ্য।
কোন পুরুষ চায় না বিছানায় তাঁর সঙ্গীনিকে পরম সুখে ভরিয়ে তুলতে। শুধু একটা সেরা সঙ্গমের মুহূর্তকে তৈরি করাই নয়, সেই সঙ্গে সবসময়ের জন্য মনে রাখার মতো অসাধারণ এক ভালো মুহূর্ত যাতে যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে তৈরি হয় তার জন্যও পুরুষরা সচেষ্ট থাকে। যৌন সঙ্গম এবং উপভোগ্য যৌন সঙ্গমের ফারাকটা বুঝতে হবে। তাই কখনই যে কোনও যৌন সম্পর্ককে তৃপ্তিদায়ক যৌন সঙ্গম বলা যায় না। একটা ভালো যৌন মুহূর্ত কীভাবে তৈরি হতে পারে তা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে যেমন সঙ্গমের সময়কালীন দুই সঙ্গীর মানসিক সুস্থতা, শারীরিক নমনীয়তা এবং চাপহীন এক পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
একটা সুস্থ-সুন্দর যৌন জীবনের জন্য অনেককিছু ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। যেমন হৃদয়ের সুস্থতা, রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণ, একটা শক্তিশালী শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ভালো ঘুম। নিয়মিত একটা ভালো যৌন সঙ্গমের অনুভূতি শরীরের এই ফ্যাক্টগুলো আরও শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। বিছানায় অধিকাংশ পুরুষই নিজের যৌন শক্তিকে সবচেয়ে বেশি করে প্রমাণ করতে তৎপর হয়, এর ফলে যেটা হয় যে অধিকাংশক্ষেত্রেই যৌনতায় সঙ্গিনীর ভূমিকা ফিকে হয়ে যায়। এই যে একা একা সব করার চেষ্টা, এতে যৌনতার মজাটাই নষ্ট হয়ে যায়। যৌন মিলনের পরম সুখ যখন দুই জনেই একে অপরের শারীরিক সম্পর্ককে এবং ঘনিষ্টতাকে পরমআনন্দে গ্রহণ করতে তৎপর হয়।
ভালো যৌনতার কথা মাথায় রেখে এখানে পুরুষদের জন্য ৫১টি টিপস দেওয়া হয়েছে। যা তাঁদের একটা ভালো সঙ্গম মুহূর্তকে তৈরি করতে সাহায্য করবে। আর এর ফলে আসতে পারে যৌন সঙ্গমের আকাশগঙ্গায় ভেসে থাকার এক পরম সুখ, যাকে অনেকে অর্গাজম বলে জানেন।
মুখ ব্যবহার করুন-
মুখের ব্যবহার মানে এখানে বলা হচ্ছে ভার্বাল কমিউনিকেশন। একটা ভালো সেক্সের মুহূর্তে প্রবেশের সূচনায় ভার্বাল কমিউনিকেশনের সমঝোতা হওয়াটা খুব জরুরি। এতে একে অপরের কাছে অনেকটা সহজ হওয়া যায়। পারলে সঙ্গিনীকে জানান যে বিছানায় আপনি কেমন মুড পছন্দ করেন। আপনার সঙ্গিনীকে আপনি বিছানায় কেমন করে পেতে চান। সঙ্গিনী যদি কোনও কথায় আপনার সঙ্গে সহমত না হয় তাহলে হতাশ হবেন না বা অসন্তোষ প্রকাশ করবেন না। বরং সঙ্গিনীকে বোঝার চেষ্টা করুন তিনি কেমন করে যৌনতাকে চান। পারলে তার সঙ্গে কথায় কথায় আলোচনাটাকে সহজ করে তুলুন। তাঁকে সাহস জোগান। যাতে যৌনতাকেও তিনি পরম এক সুখের আকাঙ্খা হিসাবে কল্পনা করতে পারেন।
এবার সত্যি সত্যি মুখের ব্যবহার করুন-
মুখের কথায় সূচনা পর্ব শেষ হলে এবার সত্যি সত্যি মুখকে ব্যবহার করুন যৌনতার আগুনকে জ্বালিয়ে তুলতে। পারলে মুখ দিয়ে সঙ্গিনীর স্পর্শকাতর স্থানগুলোকে স্পর্শ করতে থাকুন। পারলে আঙুলের খেলায় সঙ্গিনীর শরীরে হালকা ছোঁয়ায় এক স্পর্শের আগুন তৈরি করুন। গবেষণা বলছে সঙ্গম মানে শুধুই যে যোনি আর পুরুষাঙ্গের মিলনেই সমাপ্তি তা নয়, যৌনতার শিখরে পৌঁছানোর আগে স্পর্শে এবং চুম্বনের এবং দুই শরীরের একাধিক অঙ্গের একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ওঠাটা দরকার। যৌনতার ভাষায় যাকে ওরাল সেক্স বলে। সঙ্গিনীকে চুম্বন এবং আঙুলের স্পর্শে উত্তেজিত করে তুলুন। যৌনতার আবেগে সঙ্গিনী যতক্ষণ না ভেসে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত চালিয়ে যান আপনার খেলা।
সময় নিয়ে সঙ্গিনীকে জাগিয়ে তুলুন-
তাড়াহুড়ো করবেন না। যৌনতার খেলার আগুনে আস্তে আস্তে নিজেকে সঁপে দিন। সঙ্গিনীকে আদরে আদরে ভরিয়ে তুলুন। শরীরের যে সবস্থানে স্পর্শ পেলে তিনি কামুক হয়ে উঠছেন সেই সবস্থানে বারবার নিজের খেলা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এটা আসলে স্টিমিউলেশন প্রসেস। এতে সঙ্গিনী যৌন সঙ্গমের চূড়ান্ত ক্ষণের জন্য তৈরি হয়ে উঠবে। বোঝার চেষ্টা করতে হবে যে আপনার সঙ্গিনী আরও স্টিমিউলেশন চাইছেন না সঙ্গমের এক্কেবারে শেষধাপে পৌঁছতে চাইছেন।
যৌনতার খেলায় পুরোপুরি থাকুন-
অনেক পুরুষই যৌনতাকে শুধুমাত্র একটা শারীরিক চাহিদা পূরণের মতো করে দেখেন। যার ফলে এই সব পুরুষরা ভাবেন যৌনতার মানে শুধুই ধর তক্তা মার পেরেকের মতো করে যোনিতে পুরুষাঙ্গের প্রবেশ। আর খুব বেশি হলে সঙ্গিনীকে একটু আদর করে দেওয়া। আবার অনেকেই ভাবেন যৌনতা মাত্র কিছুটা সময়ের খেলা। এটাকে বাড়িয়ে লাভ নেই। আবার এমন পুরুষও রয়েছেন যাঁরা যৌন খেলায় অংশ তো নেন কিন্তু মানসিকভাবে তারমধ্যে থাকেন না। মনোবিদদের মতে, যৌনতাকে উপভোগ করতে চাইলে যৌনতায় মাতুন, যৌনতার খেলায় নিজের শরীর-মন সব ঢেলে দিন। যৌনতা কখনই খারাপ নয়, বরং সুন্দর সুস্থ যৌনতা শরীর ও মনকে আরও সুন্দর করে তোলে।
---- ক্রমশ----