সংক্ষিপ্ত


বর্ষার তেলেভাজা খেতে যতটা মুচমুচে হয়, ঠিক ততটাই কুপ্রভাব পড়ে যৌন মিলনে। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। এমনিতেই মেঘলা দিনে সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোনে সমস্যায় যৌন চাহিদা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তার উপর আবার তেলেভাজার কু-প্রভাব। সব মিলিয়ে মহিলা-পুরুষের যৌন জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। 

বর্ষাকাল মানেই তেলভাজা মাস্ট। সে বাড়িরই হোক কিংবা দোকানের।  কখনও ঝিরঝিরে বৃষ্টি তো কখনও মুষলধারায়। আর তখনই হেঁশেলে ডাক পড়ে খিচুড়ির। এদিকে খিচুড়ির সঙ্গে এক গভীর যোগ রয়েছে তেলেভাজার। তবে দুপুরে বা রাতেই ক্ষান্ত হই না। সন্ধ্যার জলখাবারেও চাই তেলেভাজা। কিন্তু এই তেলেভাজা শুধু শরীরেরই ক্ষতি করছে না যৌন জীবনে। অতিরিক্ত তেলেভাজা খেলেই বিপদ বাড়ছে যৌন জীবনে। যৌনতা এমনই একটা জিনিস যা নিয়ে অনেকেরই ভিন্ন রকমের ফ্যান্টাসি রয়েছে। একেকজন একেক রকমভাবে যৌনতাকে উপভোগ করে। ঘরবন্দি দশায় প্রত্যেকেই অনেক বেশি পরিমাণে যৌন মিলনে মেতে উঠেছেন দম্পতিরা। 

বর্ষার তেলেভাজা খেতে যতটা মুচমুচে হয়, ঠিক ততটাই কুপ্রভাব পড়ে যৌন মিলনে। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে।এমনিতেই মেঘলা দিনে সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোনে সমস্যায় যৌন চাহিদা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তার উপর আবার তেলেভাজার কু-প্রভাব। সব মিলিয়ে মহিলা-পুরুষের যৌন জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়।  তেলের গুণমান যত ভালই হোক না কেন, আগুনের তাপে তা ফ্যাটি আসিডে পরিণত হয়। যা সহজপাচ্য তো নয়ই, বরং গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো পেটের সমস্যা দানা  বাঁধে। প্রতিদিন তেলেভাজা খেলে  উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখের আশঙ্কা অনেকগুণ বাড়ে। এছাড়াও তেলেভাজার এই কুপ্রভাব কম-বেশি সকলের জানা। কিন্তু যৌন জীবনে তেলেভাজার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অনেকেরই কোনও ধারণা নেই। 

 

 

তেলেভাজার ট্রান্স-ফ্যাট পুরুষ শরীরে টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমায়, যার  ফলে পুরুষের কামসক্তি ক্রমশ কমতে থাকে। যদিও এই ট্রান্স-ফ্যাটি অ্যাসিড স্পার্ম কাউন্টের মাত্রা অধিক ভাবে বাড়িয়ে দেয়। যা আখেরে যৌন জীবনে বিপরীত প্রভাব বিস্তার করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অত্যধিক তেলেভাজা খেলে ওজনও হুহু করে বাড়তে থাকে। যা পরোক্ষ ভাবে  যৌন জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এবং সেই ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তবাহে জমা হতে থাকায় বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সংবহন কম হয়।  ফলে সেই সমস্ত অঙ্গে রক্ত ও রক্তের মাধ্যমে পুষ্টি ও অক্সিজেন কম পরিমাণে পৌঁছায়। ঠিক উল্টো দিকে সেই সব অঙ্গ থেকে বিপাকজাত বর্জও রক্তের মাধ্যমে দেহ থেকে অপসারিত হতে পারে না। যার কারণে  শিথিল হয়ে পড়ে মহিলা ও পুরুষের যৌনাঙ্গ।  এর প্রভাব পড়ে মিলনের অন্তিম মুহূর্তে। তেলেভাজা বেশি খেতে নিষেধ করলেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খাবারের মশলার স্বাদ যৌন জীবনকে সুস্বাদু করে তোলে।