সংক্ষিপ্ত

কোনও দম্পতির যদি রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তাহলে অবশ্যই বিবাহ বিচ্ছেদ এড়াতে এই তিনটি পথ বেছে নিতে পারেন।

আপনার সুখী দাম্পত্য যেকোনও সময়ই নষ্ট হতে যেতে পারে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হতে পারে যে তা ডিভোর্স পর্যন্ত গড়াতে পারে। ভারতে এখনও পর্যন্ত এভাবে ডিভোর্স হয়েছে বলে শোনা যায় না, কিন্তু বিদেশে আকছার শোনা যাচ্ছে সিল্প ডিভোর্স। যার বাংলা করলে দাঁড়ায় সুখনিদ্রার জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ। তাই এখন থেকেই সাবধান হয়ে যায়।  

কারণ ঘুমের ওপর মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানুষের মনও নির্ভর করে। ঘুম ঠিকমত না হলে মানুষ যেমন অসুস্থ হয়ে পড়ে তেমনই মনও খারাপ হয়ে যায়। তাই কোনও দম্পতির যদি রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তাহলে অবশ্যই বিবাহ বিচ্ছেদ এড়াতে এই তিনটি পথ বেছে নিতে পারেন। 

১. আলাদা ঘুমের ব্যবস্থা করা
স্বামী-স্ত্রী এক ঘরেও শুলেও আলাদা শোয়ার ব্যবস্থা করেতে পারেন। তাহলে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বজায় থাকবে। কারণ  দেখা যায় একজনের তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস হলেও অন্যজনের ঘুম আসে অনেক দেরিতে। তাই আলাদা শুলে কোনও সমস্যা হয় না। উল্টে ভালো ঘুম হয়। তাতে শরীর ও মন দুই ঝরঝরে থাকে। 

২. আলাদা বেডরুম 
আলাদা বেডরুমও কিন্তু ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে পারে। একসঙ্গে রাত্রি যাপন  করলেও ঘুমের আগে আলাদা বেডরুম হলে সম্পর্ক ক্ষয়ক্ষতি হয় না। অনেকেই নাক ডাকেন। তাতে কিন্তু আপনার অজান্তেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাই আলাদা বেডরুম হলে সেই সমস্যা থেকে মুক্ত আপনি।

৩. মাঝেমধ্যে আলাদা 
এগুলি যদি সম্ভব নাও হয় তাহলে মাঝে মধ্যে সঙ্গীর থেকে দূরে বা আলাদা থাকুন। তাহলে রাত্রিতে আপনি যে তার কাছে কতটা মূল্যবান তা তিনি অচিরেই বুঝতে পারবেন। তাতে সম্পর্ক আরও গভীর হবে। বিচ্ছেদ তো দূরের কথা তাতে আপনি আর আপনার সঙ্গী নিজেদের অজান্তেই অনেক কাছাকাছি চলে আসবেন। সেখানে আর উঠবে না ডিভোর্স বা বিচ্ছেদের প্রশ্ন। নিজেদের সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মাঝে মধ্যেই দুজনের মধ্যে দূরত্বেরও প্রয়োজন রয়েছে। 

স্বামী - স্ত্রী বা প্রেমিক - প্রেমিকা প্রত্যেকেরই উচিৎ নিজেদের সম্পর্কে মাধেমধ্যেই বিরতি দেওয়া। তাহলে সঙ্গীর কাছে যেমন স্পষ্ট হয়ে যায়  গুরুত্ব তেমনই নিজের কাছেও নিজেকে একবার যাচাই করে নেওয়া যায়। আর সেই কারণ দম্পতীরও উচিৎ মাধে মাধ্যে বিছায় নিজেদের সম্পর্কের বিতরি দেওয়া।