সংক্ষিপ্ত

  • বিয়ের পর অনেক মহিলারাই নানান সমস্যায় ভোগেন
  • শ্বশুরবাড়িতে একজন মহিলাকে নির্যাতনও সহ্য করতে হয়
  • তাই বিবাহিত মহিলাদের জন্য তৈরি হয়েছে বেশ কিছু আইন
  • এই আইন গুলি সব মহিলাদের জেনে রাখা প্রয়োজন

বিয়ের পর অনেক মহিলারাই নানান সমস্যায় ভোগেন। নির্যাতনের সমস্যা থেকে শুরু করে অনেক সময়েই দেখা যায় একজন মহিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য বেশ কিছু আইন রয়েছে। সেই আইনই একজন মহিলাকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই মহিলাদের এই আইন গুলি জেনে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। 

শ্বশুর বাড়িতে থাকার অধিকার- বিয়ের পর সব মেয়েরই তাঁর শ্বশুর বাড়িতে থাকার অধিকার রয়েছে। এমনকি স্বামী মারা যাওয়ার পরেও একজন স্ত্রী তাঁর স্বামীর বাড়িতে থাকতে পারেন। শুধু তাই নয় ডিভোর্সের পরেও একটি মেয়ে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে থাকতে পারে যতদিন সে সেখাতে থাকতে চায়।

ডিভোর্সের অধিকার- একজন মহিলা প্রয়োজনে ডিভোর্স চাইতেই পারে। হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৯৫ -এর ১৩ নং ধারা অনুসারে কোনও মহিলাকে নির্যাতন করা হলে সে তাঁর স্বামীর সম্মতি ছাড়াই আইনত বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করতে পারে।

স্ত্রী ধনের ওপর অধিকার- হিন্দু উত্তরাধিকার আইন ১৯৫৬ -এর ১৪ নং ধারা এবং হিন্দু বিবাহ আইন, ১৯৫৫ এর ২ নং ধারা অনুসারে কোনও মহিলা তাঁর ‘স্ত্রী ধন’ দাবি করতে পারে, তার একমাত্র মালিক হিসাবে। তিনি গার্হস্থ্য সহিংসতা আইনের বিরুদ্ধে মহিলাদের সুরক্ষা আইনের ধারা ১৯ এ এর ​​অধীনে আরও অভিযোগ দায়ের করতে পারেন যে তার অধিকার অস্বীকার করা হয়েছে।

সন্তানের হেফাজত দাবি করার অধিকার- একজন মহিলার তার সন্তানের হেফাজত দাবি করার অধিকার রয়েছে, বিশেষত যদি শিশুটির বয়স পাঁচ বছরের কম হয়। তিনি কোনও আইনি আদেশ ছাড়াই বৈবাহিক পরিবার ছেড়ে চলে গেলে সে তার সন্তানকেও নিজের সঙ্গে নিতে পারেন। 

আরও পড়ুন- 'Empaths' মানুষকে অপরের অনুভূতি বুঝতে সাহায্য করে, কি এই 'Empaths', জেনে নিন

আরও পড়ুন- কিডনিতে পাথরের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন এই ৫ টি নিয়ম

গর্ভপাতের অধিকার- স্বামীর অনুমতি ছাড়াই একজন মহিলা গর্ভপাত করাতে পারেন। মেডিকেল টার্মিনেশন অফ গর্ভাবস্থা আইন, ১৯৭১ অনুসারে কোনও মহিলাকে ২৪ সপ্তাহের আগে যেকোনও সময়ে তাঁর গর্ভপাত করাতে পারেন। এমনকি বিশেষ মামলায় ২৪ সপ্তাহের পরেও আদালত গর্ভপাত করার অনুমতি দিতে পারে।