সংক্ষিপ্ত

যদি ব্রেকআপই একমাত্র উপায় থাকে, তবে তা এমনভাবে করা উচিত যাতে উভয় মানুষই তা মেনে নিয়ে নিজ নিজ জীবনে এগিয়ে যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সঙ্গীকে কষ্ট না দিয়ে কীভাবে ব্রেকআপ করা যায়।
 

ব্রেকআপের অভিজ্ঞতা যতটা সুখকর, ব্রেকআপের অনুভূতি ততটাই বেদনাদায়ক। আপনার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে হঠাৎ করে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করা সহজ কাজ নয়। কিছু লোকের জন্য ব্রেকআপের যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসা খুব সহজ কিন্তু কিছু লোকের জন্য এটি থেকে বেরিয়ে আসতে কয়েক বছর লেগে যায়। দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়া এবং সব ধরনের ভুল বোঝাবুঝির কারণে ব্রেকআপের সম্ভাবনা থাকে।
যদি ব্রেকআপই একমাত্র উপায় থাকে, তবে তা এমনভাবে করা উচিত যাতে উভয় মানুষই তা মেনে নিয়ে নিজ নিজ জীবনে এগিয়ে যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সঙ্গীকে কষ্ট না দিয়ে কীভাবে ব্রেকআপ করা যায়।
বসুন এবং কথা বলুন - আপনার সঙ্গীকে উপেক্ষা না করে, তাদের সঙ্গে বসুন এবং আরও ভালভাবে সবকিছু বলুন। আপনার কথা সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করুন এবং তাদের কথাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। ফোন বা মেসেজের মাধ্যমে কখনো ব্রেকআপ করবেন না।
তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন না- এটি আপনার সঙ্গীর জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কখনোই তাড়াহুড়ো করে ব্রেকআপের কথা বলবেন না। শান্তভাবে বসে সঙ্গীর সঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার পর ব্রেকআপের সিদ্ধান্তে আসুন। ব্রেকআপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, প্রতিটি বিষয়ে খোলামেলা কথা বলুন।
একান্তে কথা বলুন- ব্রেকআপের সময় পরিবেশ উত্তেজনাপূর্ণ। তাই বাড়ি বা পাবলিক প্লেসের পরিবর্তে এমন জায়গায় কথা বলা উচিত যাতে এখানে লোকজন কম থাকে। আপনার সঙ্গে কোনও বন্ধুর সম্পর্কে এভাবে কথা বলতে যাবেন না। এতে জিনিসগুলি আরও খারাপ হতে পারে।
প্রশ্ন তৈরি রাখুন- ব্রেক আপ করার আগে আগে থেকেই মনে মনে ভাবতে থাকুন যে আপনাকে কী এবং কীভাবে সঙ্গীকে বলতে হবে। আপনার সঙ্গী আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে এমন প্রশ্নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে কথা বলে সোজা ও সত্যি কথা বলুন।

আরও পড়ুন- সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই জিনিসগুলিতে কখনোই প্রশয় দেওয়া উচিত নয়, ভবিষ্যতে নষ্ট হতে পারে সম্পর্ক

আরও পড়ুন- বয়ফ্রেন্ড বা স্বামীর এই স্বভাবগুলি দেখলে বুঝবেন আপনার সম্পর্ক ভাঙ্গতে বসেছে

আরও পড়ুন- সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ভুলগুলো করবেন না, এগুলোই হয়ে ওঠে সম্পর্ক ভাঙার কারণ