সংক্ষিপ্ত
সত্যিই কি ভূত ঘোরাফেরা করে ভূত চতুর্দশীর রাতে? হাড় হিম করা সত্যি জানেন না অনেকেই
দীপাবলির আগের দিন হল ভূত চতুর্দশী। এই দিন ঘরে ঘরে জ্বলে বাতি, লাইট। রাতেও ঝলমল করে চারিদিক। বলা হয় এদিন ভূতের আবির্ভাব হয় পৃথিবীতে। সারা বাড়ি জুড়ে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো এদিন।
কিন্তু সত্যিই কি এদিন ভূত আসে পৃথিবীতে? এই দিনের মাহাত্ম্য জেনে নিন-
পুরাণ মতে দানবরাজ বলি যখন স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল দখল করে নেন তখন নির্বিচারে হত্যালিলা শুরু হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়েছিল দেবতাদের উপরেও। বলির তাণ্ডব ঠেকাতে দেবগুরু বৃহস্পতি ভগবান বিষ্ণুকে একটি উপায় দিলেন। তখন বামনের ছদ্মবেশে এলেন ভগবান বিষ্ণু, এবাং তাঁর পায়ের সমান তিন পা জমি ভিক্ষা চাইলেন বলির কাছে। বলি অবশ্য প্রথম থেকেই বুঝেছিলেন যে এই বামন সাধারণ কেউ নন, বরং স্বয়ং বিষ্ণু। কিন্তু তারপরেও বামনের পাল্লায় পড়ে তাঁর চুক্তিতে রাজি হয়ে যান। এরপরেই দুই পায়ে স্বর্গ্য ও মর্ত্য দখল করেন বিষ্ণু। এরপর নাভি থেকে তাঁর আরও এক পা বেরিয়ে আসে যে পা তিনি বলির মাথায় রাখেন। সঙ্গে সঙ্গে বলি মাতালে নেমে যায়। সেই থেকেই বলির আবাস হয় পাতালে।
যেহেতু সব জেনেবুঝেও বলি জমি দান করেন তাই ভগবান বিষ্ণু নরকাসুর রূপে পুজোর প্রবর্তন করেন। কথিত আছে ভূত চতুর্দশীর এই দিনে অসংখ্য অনুচর-সহ ভূত, প্রেত নিয়ে মর্ত্যে পুজো নিতে আসেন বলি।
এ ছাড়াও কথিত আছে যে এদিন পরলোকগত চৌদ্দ পুরুষের আত্মারাও নিজের নিজের বাড়িতে নেমে আসেন। তাঁদের আসা যাওয়ার পথকে আলোকিত করতেই এদিন সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ জ্বালানো হয়।