সংক্ষিপ্ত
বারাণসীতে হোলি উৎসব পালিত হয় বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে। এখানকার মণিকর্ণিকা ঘাটে হোলি খেলার কথা কে না জানে। চিতার ছাই দিয়ে খেলা এই হোলি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। জেনে নিন ঋষি ও অঘোরিরা কেন এখানে চিতার ছাই দিয়ে হোলি খেলেন?
বারাণসী অর্থাৎ বেনারস বা কাশী নাম যাই থাকুন এই স্থানের মাহাত্ম্যই অনন্য। পৃথিবীর প্রতিটি কোণ থেকে মানুষ বেনারসের প্রকৃতি অনুভব করতে আসেন। হোলি এলেই মথুরা বৃন্দাবনের পাশাপাশি খবরের শিরোনামে ছেয়ে যায় বেনারসও। বারাণসীতে হোলি উৎসব পালিত হয় বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে। এখানকার মণিকর্ণিকা ঘাটে মসনার হোলি খেলার কথা কে না জানে। চিতার ছাই দিয়ে খেলা এই হোলি সম্পর্কে সবাই বিস্তারিত জানতে চায়। জেনে নিন ঋষি ও অঘোরিরা কেন এখানে চিতার ছাই দিয়ে হোলি খেলেন?
বারাণসীর প্রাচীন স্থানীয় ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখে, এই বছরও হোলি উদযাপিত হবে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে। ভক্তরা মণিকর্ণিকা এবং হরিশচন্দ্র ঘাটে সমবেত হন এবং জ্বলন্ত চিতার মাঝে একে অপরকে ছাই এবং আবির দিয়ে হোলি খেলেন। স্থানীয় প্রথা অনুযায়ী, 'রংবারী একাদশীর' দিনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ছাই সংগ্রহ করা হয় এবং একাদশীর পরের দিন এখানকার মহাশ্মশান ঘাটে সেই ছাই দিয়ে হোলি খেলা হয়।
ভগবান শিবকে উৎসর্গ করা মহাশ্মশান নাথ (শ্মশানের অধিপতি) মন্দিরে প্রার্থনা করে ভক্তরা তাদের দিন শুরু করে। সন্ন্যাসী এবং ভক্তরা এই উপলক্ষটি উদযাপন করতে জড়ো হয়, লোকগীতি গায় এবং ভগবান শিবের নাম জপ করে। "খেলে মাসানে মে হোলি দিগম্বর, খেল মাসানে মে হোলি (ভগবান শিব শ্মশানে হোলি খেলেন)," ভক্তরা স্লোগান দেয় যখন আকাশ ছাই এবং রঙে ভরে যায়।
আরও পড়ুন- দোল হোক বা হোলি, ভুল করেও ব্যবহার করবেন না এই রঙ, জেনে নিন কোন রং আপনার জন্য এদিন হবে অশুভ
আরও পড়ুন- দোল উৎসবের প্রাচীণ ইতিহাস, কেন দোলকে 'বসন্ত মহোৎসব' বা 'কাম মহোৎসব' বলা হয়
আরও পড়ুন- দোল পূর্ণিমার পবিত্র তিথিতে জীবনের সমস্ত জটিল সমস্যা দূর করতে গোপণে পালন করুন এই নিয়মগুলি
কেন মাসানে হোলি খেলা হয় এবং কেন চিতার ছাই একে অপরের গায়ে লাগানো হয়। কথিত আছে যে শিব মা পার্বতীর কাছে গৌণ অর্চনা করে ফিরেছিলেন। দেবতা এবং ঋষিরা তাদের সঙ্গে ফুল ও রঙের হোলি খেলতে যাচ্ছিলেন। তখনই ভগবান শিব দেখলেন যে ভক্তরা অর্থাৎ ভূত এবং অঘোরিরা শ্মশানে চুপচাপ বসে আছে। তারপর ভোলে বাবা পরের দিন গানের সঙ্গে শ্মশানে পৌঁছে জ্বলন্ত চিতার মধ্যে মৃতদেহের ছাই দিয়ে হোলি খেলেন। সেই থেকে এই ঐতিহ্য আজও উৎসাহের সঙ্গে পালিত হচ্ছে।