সংক্ষিপ্ত

গীতায় কোথাও আপনাকে আপনার আত্মসম্মানে আঘাত করার জন্য অপমান সহ্য করতে শেখানো হয়নি, তবে কিছু জায়গায় বলা হয়েছে যে কীভাবে অপমান সহ্য করলে, তা আপনার সাফল্যের সিঁড়ি হতে পারে।

ভগবদ্গীতার জ্ঞান প্রতিটি মানুষের জীবনকে উন্নত করে। গীতার মতে, যদি কেউ আপনাকে অপমান করে, আপনার ধৈর্য্য ও ক্ষমা দিয়ে তার মুখোমুখি হওয়া উচিত। গীতায় কোথাও আপনাকে আপনার আত্মসম্মানে আঘাত করার জন্য অপমান সহ্য করতে শেখানো হয়নি, তবে কিছু জায়গায় বলা হয়েছে যে কীভাবে অপমান সহ্য করলে, তা আপনার সাফল্যের সিঁড়ি হতে পারে। শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন, 'এই তিনটি পরিস্থিতিতে অপমান সহ্য করলে আপনি সফল হবেন জীবনে।

বাবা মায়ের কাছে অপমানিত হওয়া

অনেক সময় আমাদের বাবা-মা রেগে গিয়ে আমাদের অপমান করে। শিশুকে আরও সক্রিয় করতে তাদের ওপর অভদ্রভাবে কথা বলতে হয়। ভগবদ্গীতা অনুসারে, পিতামাতার অপমান সহজে সহ্য করা উচিত, কারণ এই অপমান কখনই আপনার আত্মসম্মানে আঘাত করা নয় বরং পরিস্থিতির সাথে লড়াই করতে শেখানোর জন্য।

শিক্ষকের কাছ থেকে অপমান

আপনাকে সংশোধন করার জন্য অনেক সময় শিক্ষক বা গুরুরা রেগে যান এবং আপনাকে অপমান করেন। একজন গুরু বা শিক্ষকের করা অপমান কোন প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সহ্য করা উচিত এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া উচিত নয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, বাবা-মা বা শিক্ষকের কটু কথা জীবনের সত্য ও কঠিন পরিস্থিতি উপলব্ধি করে।

ঈশ্বরের অপমান

মন্দিরে অপমানিত হলে ধৈর্য সহকারে কোন ঝামেলা বা তর্ক ছাড়াই মোকাবেলা করা উচিত। ভগবদ্গীতা অনুসারে, যারা অপমান সহ্য করেন এবং মন্দিরে তর্ক করেন না তারা দেবতাদের আশীর্বাদ পান। এখানে অপমানকে নিজের উপর আক্রমণ হিসেবে না নিয়ে ভাবতে হবে যে ঈশ্বর আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।