সংক্ষিপ্ত
প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী দশমীর দিনই মা দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর। অশুভ শক্তির বিনাস ঘটিয়ে শুভ শক্তিকে স্থাপন করেছিলেন।
বিজয়া দশমী মানেই দুর্গাপুজো শেষ। হিন্দুশাস্ত্র এটি একটি বিশেষ দিন। মা দুর্গার আবার কৈলাসে গমণের দিন। দশমীর দিন বেশ কিছু নিয়ম পালন করলে উপচে পড়বে সৌভাগ্য। জানুন নিয়মগুলি
প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী দশমীর দিনই মা দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর। অশুভ শক্তির বিনাস ঘটিয়ে শুভ শক্তিকে স্থাপন করেছিলেন। তাই বিশ্বাস করা হয় এই দিনটি যথাযথ নিময় পালন করলে মা দুর্গার আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
১. দমশীর দিন অবশ্যই মায়ের পায়ে সিঁদুর দিন। বাকি সিঁদুর মায়ের পায়ে ছুঁয়ে বাড়িতে আনুন। সারা বছর সেই সিঁদুর পুরুষ মহিলা নির্বাশেষে সকলেই ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে বিপদ মুক্ত থাকতে পারবেন।
২. বিসর্জনের পর একটি পাত্রে কিছুটা চন্দন বাটা, অল্প সিঁদুর, অল্প কর্পুর, একটি পান ও গোচোনা একটি মিশিয়ে নিন। তারপর ঘরের পবিত্র স্থানে রেখে দিন। পাত্রের সামনে অবশ্যই একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। সাত দিন এই মিশ্রণটি এভাবেই রেখে দেওয়ার পরে জলে দিয়ে দিন। তাতে বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি বিনাস হবে।
বিসর্জন হয়ে গেলে মায়ের পা থেকে একটি পদ্মফুল এনে ঘরে রাখুন হলুদ কাপড়ে মুড়ে। গাছে ঝুলিয়েও রাখতে পারেব। তাহলে বাড়ি ও পরিবারের সদস্যরা কুনজর থেকে দূরে থাকবে।
৪. দশমীর অঞ্জলি দিন সাদা আর নীল রঙের অপরাজিতা ফুল দিয়ে।
৫. বিজয়া দশমীর দিন বাড়িতে বট বা অশ্বত্থ গাছের চারা লাগাতে পারেন।
৬. দশমীর দিন কোনও নেতিবাচক চিন্তা মনে আনবেন না। দিনটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। মা দুর্গার কোপে পড়তে পারেন।
৭. দশমীর দিন বাড়িতে যারা পড়াশুনা করে তারা অবশ্যই একটি খাতায় দশবার শ্রী দুর্গা লিখুন। তাহলে মা দুর্গার আশীর্বাদে পরীক্ষায় আসা বাধা কেটে যাবে।