সংক্ষিপ্ত

১৭ কি ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শেষ দিনে বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়। এই দিনটি মনসা পুজোও হয়। অনেকেই অরন্ধ্রণ পালন করেন। যাইহোক এই বিশেষ দিনে আপনিও বাড়িতে ছোট্ট করে বিশ্বকর্মার পুজো করতে পারেন। তারজন্য বিশেষ কোনও মন্ত্রতন্ত্রের প্রয়োজন নেই।

 

হিন্দুশাস্ত্র মতে বিশ্বকর্মা হলেন একজন ইঞ্জিনিয়ার, প্রকৌশলী বা যন্ত্রের দেবতা। আমাদের নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বড় যন্ত্রপাতি সবকিছু তিনি দেখভাল করেন। তেমনই বিশ্বাস প্রাচীনকাল থেকে। বড়বড় কারখানায় এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপিত হয়। কিন্তু অনেকেই নিজের বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির রক্ষণাবেক্ষণের বিশ্বকর্মা পুজোর করতেই পারেন।

১৭ কি ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ ভাদ্র মাসের শেষ দিনে বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়। এই দিনটি মনসা পুজোও হয়। অনেকেই অরন্ধ্রণ পালন করেন। যাইহোক এই বিশেষ দিনে আপনিও বাড়িতে ছোট্ট করে বিশ্বকর্মার পুজো করতে পারেন। তারজন্য বিশেষ কোনও মন্ত্রতন্ত্রের প্রয়োজন নেই।

বাড়িতে ছোট্ট করে বিশ্বকর্মা পুজোর নিয়ম-

বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে বিশ্বকর্মার পুজো করা হয়। বাড়িতে থাকা যন্ত্রপাতি গুলি পরিষ্কার করেন নিন। একটি জলচৌকিতে লাল কাপড় পেতে বিশ্বকর্মার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করুন। বিশ্বকর্মাকে চন্দন আর সিঁদুরের টিকা পরাবেন। তারপরই ফল মিষ্টি অর্পণ করুন। ধূপ আর প্রদীর জ্বেলে দেবতার আরাধনা করুন। বর্তমানে জীবনে আমরা প্রত্যেকেই যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। মোবাইল আর ল্যাপটপর সুরক্ষারও জন্যও বিশ্বকর্মার পুজো করতে পারেন। প্রয়োজনীয় সামগ্রী বা যন্ত্রপাতিগুলি বিশ্বকর্মার পায়ের কাছে রাখুন। বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে বাড়ির ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় অভিবাদন করা উচিৎ।

ধর্মীয় পণ্ডিতদের মতে, এবার বিশ্বকর্মা পূজার শুভ সময় (বিশ্বকর্মা পূজা ২০২৩ শুভ মুহুর্ত) ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টা ৪৪ মিনিট থেকে শুরু হবে। এই শুভ সময় রাত ১২ টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এই শুভ সময়ে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগও গঠিত হবে। অর্থাৎ সেই শুভ সময়ে আপনি ভগবান বিশ্বকর্মার আরাধনা করবেন এবং তাঁর কাছে আপনার ইচ্ছা পোষণ করবেন, তা অবশ্যই শীঘ্রই পূরণ হবে। এছাড়াও আপনার পুরও পরিবার পুণ্য ফল পাবে। এবার ৫০ বছর পর বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘটছে এক বিরল কাকতাল। এই কাকতালীয় কারণে মানুষের চাকরি ও ব্যবসার বাধা দূর করতে পারে।