সংক্ষিপ্ত

কথিত আছে যে বাড়িতে যেখানে গণেশ স্থাপন করা হয়, সেখানে কিছু বিশেষ জিনিস রাখতে হবে। এতে রাহু-কেতুর কারণে সৃষ্ট ত্রুটি দূর হয়।

 

Ganesh Chaturthi: এই বছর গণেশ চতুর্থী ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে। এই দিন থেকে শুরু হবে ১০ দিনের গণেশ উৎসব। ২৮ সেপ্টেম্বর অনন্ত চতুর্দশীতে শেষ হবে গণপতি উৎসব। গণেশ চতুর্থীর দিন সিদ্ধিদাতার ভক্তরা মহা সমারহে তার আরাধনা করে।

বাড়িতে এবং মোড়ে মোড়ে বড় প্যান্ডেল সাজিয়ে ভগবান গণেশকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যেখানে ভগবান গণেশ বাস করেন, সেখানে কখনও কোনও দুঃখ বা সমস্যা হয় না। কথিত আছে যে বাড়িতে যেখানে গণেশ স্থাপন করা হয়, সেখানে কিছু বিশেষ জিনিস রাখতে হবে। এতে রাহু-কেতুর কারণে সৃষ্ট ত্রুটি দূর হয়।

কিভাবে বাড়িতে গণপতির আসন সাজাবেন-

আপনি যদি বাড়িতে গণপতি আসন সাজিয়ে থাকেন, তাহলে ফুলের সঙ্গে দূর্বাও রাখতে পারেন। গণপতির কাছে দূর্বা সবচেয়ে প্রিয়। দূর্বা প্রতিদিন বদলানো যায়। ঘরে দূর্বা থাকার কারণে রাহু-কেতুর কারণে সৃষ্ট দোষ-ত্রুটি দূর হয়। বাড়ির পরিবেশ ইতিবাচক থাকে। সংসারে কোনও ঝামেলা নেই।

এই রঙের ফুল - ভগবান গণেশের আসন সাজাতে লাল, কমলা এবং হলুদ রঙবেশি ব্যবহার করুন। এই রঙগুলি গণপতির প্রিয়। এই রঙের ফুলের মালা প্যান্ডেলে বসানো যেতে পারে। গণপতির মূর্তির চারপাশে কলা পাতা রাখুন। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এটি দেবী লক্ষ্মীকে খুব খুশি করে এবং ব্যক্তির কখনই অর্থের অভাব হয় না।

আরও পড়ুন-  গণেশ চতুর্থীর আগে জেনে নিন বিভিন্ন মূর্তি ও তার স্থাপণ সম্পর্কিত ১০ জরুরী নিয়ম

আরও পড়ুন- গণেশ চতুর্থীতে সিদ্ধিদাতার আশির্বাদে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়বে এই রাশিগুলির

আরও পড়ুন- কবে থেকে শুরু গণেশ চতুর্থী, জেনে নিন দিনক্ষণ ও শুভ মুহুর্ত

সঠিক দিক- গণেশ চতুর্থীতে গণপতি প্রতিষ্ঠার জন্য শুধুমাত্র সঠিক দিক বেছে নিন, তা না হলে উপবাস ও পূজার ফল পাবেন না। ভগবান গণেশের মূর্তি সর্বদা পূর্ব দিকে স্থাপন করা উচিত, ঈশান কোণ অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব দিকেও উত্তম।

এই কাজে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হবেন - ভগবান গণেশের স্থাপনের জায়গায় এবং চারপাশে রঙ্গোলি তৈরি করুন। কথিত আছে যে যখন বিভিন্ন রঙের একটি রঙ্গোলি সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়, তখন এটি দেবী লক্ষ্মীকে আমন্ত্রণ জানায় এবং বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে।