এবছর কবে পালিত হবে নীল ষষ্ঠীর ব্রত, জেনে নিন শুভ সময় ও পুজোর বিশেষ নিয়ম
চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন সন্তান লাভ করতে সারাদিন নির্জলা উপবাস থেকে সন্ধেয় শিবের ঘরে বাতি জ্বালিয়ে জল খাওয়ার প্রথা রয়েছে বাংলার চির পরিচিত নীল ষষ্ঠীর নিয়মে। তবে পঞ্জিকা অনুসারে ষষ্ঠী তিথি না হলেও নীল ষষ্ঠী পালন করা হয় এদিন।
- FB
- TW
- Linkdin
নীল ষষ্ঠী ব্রতর বিশেষত্ব হল এই ষষ্ঠীতে কোনও দেবী নন, পূজিত হন মহাদেব। নীল ষষ্ঠীর পরের দিন চৈত্র সংক্রান্তি। আর এর পরের দিন পয়লা বৈশাখ। গ্রাম বাংলায় চৈত্র সংক্রান্তিতে চরক পুজো করা হয়।
চরক উপলক্ষ্যে গাজনের মেলা বসে গ্রাম বাংলার অনেক স্থানে। পুরাণ অনুসারে নীল ষষ্ঠীর এই বিশেষ দিনেই মহাদেবের সঙ্গে নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতীর বিয়ে হয়েছিল।
মহাদেব নিজে হলেন নীলকণ্ঠ। আর তাঁর সঙ্গে এদিন নীল চণ্ডিকা বা নীলাবতীর বিবাহ হয়েছিল বলেই এই দিনটি নীল ষষ্ঠী নামে পরিচিত। এদিনের পুজোকে নীল পুজো বলা হয়ে থাকে।
এই বছর আগামী ১৪ এপ্রিল রবিবার পালিত হবে পয়লা বৈশাখ। তার আগের দিন ১৩ এপ্রিল শনিবার হল চৈত্র সংক্রান্তি এবং তার আগের দিন ১২ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার হল নীল ষষ্ঠী।
সারাদিন ষষ্ঠীর উপবাস ও ব্রত রেখে সন্ধ্যালগ্নে শিবের মাথায় জল ঢালেন মায়েরা। কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই তেরো পার্বণেরই অন্যতম হল নীল ষষ্ঠীর ব্রত।
সারাদিন নির্জলা উপোস রেখে সন্ধের পর শিবলিঙ্গে জল ঢেলে, মহাদেবের পুজো করে, শিব শংকরের প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন মায়েরা।
পুজো করতে অবশ্যই লাগবে বেলপাতা। কারণ শিবের পুজো বেলপাতা ছাড়া হয় না। এছাড়া এদিন শিবকে ৫ ফল নিবেদন করার রীতি আছে। শিবের পছন্দের ফুল ধুতুরা, আকন্দ। অপরাজিতা ফুলও মহাদেবের পছন্দ। কল্কে ফুলেও পূজিত হন মহাদেব। বেলপাতা দিয়ে পুজো করা হয়। সঙ্গে লাগে দুধ, দই , গঙ্গামাটি, বেলপাতা, গঙ্গাজল।
সন্তানের মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালিত হয়। সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনা করেন মায়েরা। অনেকে সন্তানলাভের জন্যও ষষ্ঠীর ব্রত করেন। বিশ্বাস, নীলষষ্ঠী ব্রত করলে তাদের সন্তানদের অমঙ্গল হয় না।