২০২৬ সালে ১৩ মাসে বছর! ৬০ দিনে শেষ হবে এই মাস! জানুন এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব
হাতে আর এক মাস। ২০২৫ থেকে ২০২৬ পড়ার পালা। তবে আগামী বছর নাকি হিন্দু ক্যালেন্ডারে অত্যন্ত বিরল আর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই ধরা দিচ্ছে জ্যোতির্বিদদের কাছে! ২০২৬ সালে নাকি ১৩ মাসে বছর হবে! ৩০ নয়, ৬০ দিনের হবে এই মাস। জানুন এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব

২০২৫ থেকে ২০২৬ পড়ার পালা। তবে আগামী বছর নাকি হিন্দু ক্যালেন্ডারে অত্যন্ত বিরল আর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই ধরা দিচ্ছে জ্যোতির্বিদদের কাছে! ২০২৬ সালে নাকি ১৩ মাসে বছর হবে! ৩০ নয়, ৬০ দিনের হবে এই মাস। জানুন এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব
জানা গিয়েছে, এই বছর একটি নয়, বরং দুটি জৈষ্ঠ মাস আসবে। আর যদি তাই হয়, তাহলে ২০২৬ সালকে ১৩ মাসের বছর হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমনকি এটিকে অধিক মাস বা পুরুষোত্তম মাস (Adhik Maas 2026) বলা হচ্ছে। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই অধিক মাসকে পবিত্র হিসাবেই মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই মাসে পুজো, দান, ধ্যান, তপস্যা এবং ভগবান বিষ্ণুর উপাসনা করলে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার
বলাবাহুল্য, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের বছর শুরু হয় ১ জানুয়ারি থেকে। আর হিন্দু ক্যালেন্ডার শুরু হয় চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম দিন থেকেই। আর বিক্রম সংবত অনুযায়ী, ২০২৬ নববর্ষকে জ্যোতিষশাস্ত্রের দিক থেকে আকর্ষণীয় হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, এটি দুটি জ্যৈষ্ঠ মাসের এক বিরল সংমিশ্রণ।
২০২৬ সালে দুটি জ্যৈষ্ঠ মাস
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২৬ সালে জ্যৈষ্ঠ মাস দু’বার আসবে। এর অর্থ হল ভক্তরা একটি সাধারণ জ্যৈষ্ঠ মাস তো পাচ্ছেই এবং অতিরিক্ত একটি জ্যৈষ্ঠ মাস পালন করতে পারবে। আর যদি চন্দ্র মাস দেখি, তাহলে সময়কাল মোটামুটি ৫৮ থেকে ৫৯ দিন বাড়াচ্ছে।
ফলত, ২০২৬ সালের বিক্রম সংবতের বছরটি ১৩ মাস নিয়েই গঠিত হবে। আর এই অতিরিক্ত মাসটিকে বলা হচ্ছে অধিক মাস, মলমাস বা পুরুষোত্তম মাস। নিয়ম অনুযায়ী, সৌরবছর অর্থাৎ ৩৬৫ দিন এবং চন্দ্রবছর অর্থাৎ ৩৫৪ দিনের মধ্যে ১১ দিনের পার্থক্য থাকে। তবে এই পার্থক্যের ভারসাম্য রাখার জন্যই এই ঘটনা ঘটে। সে কারণে ৩২ দিনের মাসকে ১৬ দিন করে একটি অতিরিক্ত চন্দ্রমাস হিসেবে যুক্ত করা হয়।
বলে রাখি, ২০২৬ সালের ১৭ মে থেকে শুরু হয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত শেষ হবে এই জ্যৈষ্ঠ মাস। আর এই মাস মূলত ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যেই উৎসর্গ করা হয়। শাস্ত্রে কথিত রয়েছে, এই সময় যদি প্রার্থনা, দান, ধ্যান, উপবাস বা ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ করা হয়, তাহলে পূর্ণ লাভ হয়।
আর পবিত্রতার কারণে এটিকে পুরুষোত্তম মাস বলা হয়। এই মাসটির অর্থ হল সবথেকে পবিত্র মাস। তবে আধ্যাত্মিক তাৎপর্য থাকা সত্ত্বেও বিবাহ, নতুন ভিত্তিপত্তর স্থাপন বা ব্যবসা শুরু করার মতো শুভ অনুষ্ঠানগুলি এই মাসে করা যায় না। কিন্তু আধ্যাত্মিকভাবে এই মাসটিকে পালন করলে কৃপা বর্ষিত হয় বলেই বিশ্বাস।

