পুরীর জগন্নাথ মন্দির শুধু ধর্মীয় ভক্তির স্থান নয়, বরং ঐতিহ্য, স্থাপত্য ও অলৌকিকতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ, যার সামনে হাল ছেড়ে দিয়েছে বিজ্ঞানও।

আজ ১৩ই আষাঢ়, জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রায় লক্ষ লক্ষ ভক্তরা ভিড় করেছে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে। জগন্নাথ দেবের প্রতি বিশ্বজুড়ে মানুষের এত ভক্তি কারোর কথিত গল্প নয়, জীবন্ত আশ্চর্য। আসলে ভারতের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে এই মন্দিরের অলৌকিক এবং ব্যাখাতিক সমস্ত ঘটনা মানুষকে বাধ্য করেছে বিশ্বাস ও সমর্থন করতে। যুগ যুগ ধরে কৌতুহলী ভক্তরা মন্দিরের অলৌকিক সব ঘটনার সাক্ষী থাকতে ভিড় করে এখানে। যার ব্যাখ্যা আজও বিজ্ঞানীরা দিতে পারেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই রহস্যগুলি।

১। ছায়াহীন মন্দির

পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রায় ২১৪ ফুট উঁচু। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হলো, দিনের কোনো সময়ই মন্দিরের ছায়া মাটিতে পড়ে না। অনেকেই এটিকে স্থাপত্যবিদ্যার এক অসাধারণ নিদর্শন বলে মনে করেন। তবে বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন, কিন্তু এখনো পর্যন্ত এর কোনও নিশ্চিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

২। পতাকা ওড়ে হওয়ার বিপরীতে

এই মন্দিরের চূড়ায় রয়েছে একটি বিশাল আকারের পতাকা। সাধারণত পতাকা বাতাসের অনুকূলেই ওড়ে। কিন্তু জগন্নাথ মন্দিরের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ঠিক এর উল্টোটি। মন্দিরের পতাকাটি সবসময় বাতাসের বিপরীত দিকে উড়ে।

সমুদ্রের দিক থেকে হাওয়া এলেও পতাকা তার বিপরীত দিকে উড়তে থাকে। আবার রাতের সময় হাওয়ার দিক বদলালেও, পতাকাও যেন তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠিক নিজের দিক পরিবর্তন করে নেয়। পতাকার এই আচরণকে অনেকে দৈব ইশারা বলেও মনে করে থাকেন।

৩। পাখি বা বিমান ওড়ে না

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আরও একটি অবিশ্বাস্য বিষয় হলো—জগন্নাথ মন্দিরের উপর দিয়ে কোনো পাখি বা বিমান উড়ে যায় না কখনোই। ভক্তদের বিশ্বাস, ভগবান বিষ্ণুর বাহন গরুড় মিন্দিরের মাথায় বসে এই মন্দির পাহারা দেন বলে অন্য কোনো পাখি সাহস করে এর উপর দিয়ে উড়ে যায় না।

আবার, বিমান না ওড়ার কারণ হিসেবে মন্দিরের উপরে থাকা নীলচক্রের চৌম্বকীয় শক্তিকে অনেকে দায়ী করেন।