শিবরাত্রির দিন এইভাবে পুজো করলেই মনের মানুষকে কাছে পাবেন অবিবাহিত মেয়েরা! কোনও মতেই ভাঙবে না সম্পর্ক
হিন্দুধর্মে মহা শিবরাত্রির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনটি শিব ও শক্তির মিলনের জন্য নিবেদিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী দিনে মহাদেব ও মা পার্বতীর বিবাহ সম্পন্ন হয়। এদিন শিব মন্দিরগুলিতে বিশেষ পূজা ও আচারও করা হয়। মহা শিবরাত্রির উপবাস পালন করলে ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়।
এবার জেনে নেওয়া যাক কীভাবে অবিবাহিত মেয়েদের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মহা শিবরাত্রির পুজো করা উচিত-
মহাশিবরাত্রির উপবাস করলে কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী দান করে। ভগবান ভোলেনাথকে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং তাঁর ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন। প্রত্যেক যুবতী ভগবান শিবের মতো স্বামী পেতে চান। এটি একটি ধর্মীয় বিশ্বাস যে কোনও অবিবাহিত মেয়ে যদি মহাশিবরাত্রিতে উপবাস করে এবং শিব-পার্বতীর উপাসনা সঠিকভাবে করে তবে সে তার পছন্দসই জীবনসঙ্গী লাভ করবে।
এর পাশাপাশি সে একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের আশীর্বাদও পাবে। যারা দাম্পত্য জীবনে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন তাদেরও উপবাস রাখা উচিত এবং মহাশিবরাত্রিতে পূজা করা উচিত। উল্লেখ্য, এ বছর মহাশিবরাত্রি উৎসব পালিত হবে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি।
পুজোর নিয়ম
মা পার্বতীকে বিয়েরর সামগ্রী অর্পণ করুন। শিব চালিশা পাঠ করুন এবং ভগবান শিবের মন্ত্রও জপ করুন। সূর্যোদয়ের দ্বিতীয় দিনে মহা শিবরাত্রির উপবাস ভঙ্গ করুন এবং এই দিন নুন বা শস্য খাওয়া যাবে না।
মহাশিবরাত্রি পূজার আচার অনুষ্ঠান
মহাশিবরাত্রির দিন সকালে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরা যেতে পারে। এদিন কালো বা ধূসর রঙের পোশাক পরা চলবে না।
মন্দির বা প্রার্থনার ঘরটি পরিষ্কার করে এতে গঙ্গার জল ছিটিয়ে শুদ্ধ করে পুজো করতে হবে। এবার গঙ্গাজল, দুধ, দই, মধু ও বিশুদ্ধ জল দিয়ে শিবলিঙ্গ স্নান করাতে হবে।
এছাড়াও, শিবলিঙ্গে ফুল, বেল পাতা এবং ধুতরা ফুল অর্পণ করতে হবে। শিবলিঙ্গের কাছে ধূপ ও প্রদীপ জ্বালাতে হবে। মহাদেবকে নৈবেদ্য হিসাবে মিশরি, ক্ষীর, মিষ্টি নিবেদন করতে হবে। এতেই সন্তুষ্ট হবেন মহাদেব।
