মোক্ষদা একাদশী ব্রতকথা: নরকগামী বাবাকে ছেলে কীভাবে মোক্ষ দিল? রয়েছে অজানা গল্প
মোক্ষদা একাদশী ব্রতকথা: ১ ডিসেম্বর, সোমবার মোক্ষদা একাদশীর ব্রত পালন করা হবে। এই ব্রতের গুরুত্ব অনেক ধর্মগ্রন্থে বলা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, যে ব্যক্তি মোক্ষদা একাদশীর ব্রত পালন করেন, তিনি জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পান।

মোক্ষদা একাদশী ব্রতের মহত্ব
প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে মোক্ষদা একাদশী পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই ব্রত পালনকারী ব্যক্তি জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি পান। এই ব্রত পালন করলে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং পিতৃপুরুষদের उद्धार হয়।
রাজা বৈখানসের স্বপ্ন
ধার্মিক রাজা বৈখাनস একদিন স্বপ্নে দেখেন, তাঁর প্রয়াত বাবা নরকে কষ্ট ভোগ করছেন। এই স্বপ্ন দেখে তিনি যারপরনাই চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং এর কারণ জানতে চান।
ব্রাহ্মণদের পরামর্শ
রাজার স্বপ্নের কথা শুনে ব্রাহ্মণরা তাঁকে পর্বত নামক এক মহান ঋষির কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন, যিনি ভূত, বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্পর্কে জানেন। রাজা বৈখানস পর্বত ঋষির সঙ্গে সাক্ষাত করেন যান, তিনি ত্রিকালদর্শী ছিলেন, ও রাজার স্বপ্নের রহস্য উন্মোচন করেন।
পর্বত ঋষির কথা
ঋষি পর্বত জানান, পূর্বজন্মে স্ত্রীদের প্রতি দুর্বব্যহরা করার পাপে রাজার বাবা নরক যন্ত্রণা ভোগ করছেন। মোক্ষদা একাদশীর ব্রত করে তার পুণ্যফল অর্জন করলেই তিনি মুক্তি পাবেন। মোক্ষদা একাদশীর ব্রতই নরক থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।
রাজা বৈখানসের ব্রত পালন
এরপর রাজা বৈখানস সপরিবারে বিধি মেনে মোক্ষদা একাদশীর ব্রত পালন করেন। এর শুভ প্রভাবে তাঁর বাবা নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে স্বর্গে গমন করেন।

