ঘরের মূল দরজাকে শুধু বাহ্যিক প্রবেশপথ না, শুভ-অশুভ শক্তি প্রবাহের দরজাও বটে। ভারতীয় বাস্তুবিদ্যা ও ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী কিছু উপকরণ আছে যা নিয়ম মেনে মূল দরজায় স্থাপন করলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি ও সুরক্ষা বজায় থাকবে

প্রাচীন ভারতীয় বাস্তুবিদ্যা ও ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী, আমাদের আশেপাশের পরিবেশ ও শক্তির প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনের উপর। বিশেষ করে আপনার যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত বাড়ির প্রধান দরজা — যেটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ইতিবাচক ও নীতিবাচক শক্তির প্রবাহ ঘটে। এর চারপাশে সঠিক জিনিস রাখলে ইতিবাচক শক্তির আগমন ঘটবে, এবং নেতিবাচক শক্তি দূরে থাকবে আপনার বাড়ি ও জীবন থেকে।

এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলি নিয়ম মেনে মূল দরজায় স্থাপন করা হলে, জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি ও সুরক্ষা আনতে পারে।

১। তোরণ

আমের পাতা, ওষুজের পাতা ও গাঁদা ফুল লাল সুতোয় বেঁধে বানানো তোরণ দরজায় ঝুলিয়ে রাখলে শুভ শক্তি প্রবেশ করে। এটি মঙ্গল ও উৎসবের প্রতীক, এবং দৃষ্টিদোষ রোধ করে। মনে করা হয়, এই জিনিসগুলি পরিবেশকে শুদ্ধ করে এবং আগত অতিথিদের স্বাগত জানায়।

২। ঘোড়ার নাল

দক্ষিণমুখী বা পশ্চিমমুখী দরজার উপরে ঘোড়ার নাল উল্টোভাবে টাঙানো হয়। বিশ্বাস করা হয়, কুদৃষ্টি ও নেতিবাচক শক্তি ঠেকিয়ে রাখে এবং দারিদ্র দূর করে। ধন ও সমৃদ্ধি আকর্ষণ করে।

৩। স্বস্তিক চিহ্ন

স্বস্তিক চিহ্ন হিন্দুধর্মে শ্রেষ্ঠ শুভচিহ্ন হিসেবে বিবেচিত। মূল দরজার দুই পাশে কুমকুম বা সিঁদুর দিয়েও আঁকা যায়, বার অনেকে হলুদ দিয়েও আঁকেন। এই চিহ্ন সৌভাগ্য, শান্তি ও সাফলতা বজায় রাখে।

৪। উইন্ড চাইম

অনেক বাড়িতেই দেখবেন দরজা বা জালনায় ঝুলিয়ে রাখেন বাড়ির মালিকরা। বাতাসে নড়েচড়ে সুমধুর শব্দ ঘরে কম্পন ছড়ায়, যা মনকে প্রশান্ত করে। এই ঝুলন্ত বস্তুটি নেতিবাচক শক্তিকে দূর করে দেয়। ধাতব উইন্ড চাইম মূলত উত্তর-পূর্ব বা পশ্চিমমুখী দরজায় রাখা উপযুক্ত।

৫। শুভ গণেশ বা লক্ষ্মীর মূর্তি

ঘরের দরজার সামনে লক্ষী এবং গণেশর মূর্তি রাখা শুভ। গণেশ বিঘ্নহর্তা এবং লক্ষ্মী ধোন সমৃদ্ধির দেবী বলে আমরা জানি। গণেশের মূর্তি বা ছবি রাখলে বাধাবিঘ্ন, বিপত্তি কেটে যায়। আবার দরজার ভিতরমুখে লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ বা ছবি রাখলে বিশ্বাস করা হয় ধন-সম্পদের প্রবাহ ঘটে এবং গৃহলক্ষ্মী স্থায়ী হন।