বিয়ের কার্ড বাস্তু মেনে ডিজাইন করা খুব জরুরি। কার্ডে বর-বউ বা দেব-দেবীর ছবি ছাপানো অশুভ বলে মনে করা হয়। এর পরিবর্তে, শুভ মন্ত্র, সঠিক রঙ এবং সমস্ত জরুরি তথ্য দিলে শুভ শক্তি এবং ইতিবাচকতা বাড়ে।
বিয়ের কার্ডের বাস্তু টিপস: বিয়ের কার্ড ডিজাইন করার সময় কিছু বাস্তু এবং ধর্মীয় নীতি মাথায় রাখা জরুরি। এগুলি উপেক্ষা করলে আপনার জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিয়ের কার্ডের জন্য বাস্তু টিপস সম্পর্কে আরও জানুন।
বিয়ের কার্ডে কী ছাপানো উচিত নয়?
বর-বউয়ের ছবি
আজকাল অনেকেই নিজেদের কার্ড আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য তাতে বর-বউয়ের ছবি ছাপান। তবে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এটি অশুভ বলে মনে করা হয়। এতে কুনজর লাগতে পারে এবং অজান্তেই দাম্পত্য জীবনে কলহ বা মতবিরোধ তৈরি হতে পারে।
ভগবান গণেশের ছবি
বাস্তু অনুসারে, কার্ডে ভগবান গণেশের ছবি ছাপানোও অনুচিত বলে মনে করা হয়। কারণ বিয়ের পর বেশিরভাগ কার্ড ফেলে দেওয়া হয় বা অন্য কোথাও রেখে দেওয়া হয়, যা ভগবানের ছবির অপমান হতে পারে। এর পরিবর্তে, আপনি কার্ডে "শ্রী গণেশায় নমঃ", "শুভ বিবাহ" এবং "শুভ মঙ্গলম"-এর মতো শুভ শব্দ লিখতে পারেন।
কার্ডের সঠিক রঙ এবং শুভ মন্ত্র
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বিয়ের কার্ডের রঙ এমন হওয়া উচিত যা ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে। লাল, হলুদ, জাফরানি বা সাদা রঙ শুভ বলে মনে করা হয়। এই রঙগুলি সৌভাগ্য, প্রেম এবং সদভাবের প্রতীক। আপনি কার্ডে গণেশ বা বিষ্ণু মন্ত্রও লিখতে পারেন, যেমন: "মঙ্গলম ভগবান বিষ্ণু, মঙ্গলম গরুড়ধ্বজঃ, মঙ্গলম পুণ্ডরীকাক্ষ, মঙ্গলায়তনো হরিঃ।"
বিয়ের কার্ডে এই তথ্যগুলি অবশ্যই দিন
বিয়ের কার্ড শুধু একটি আমন্ত্রণপত্র নয়- এতে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ স্পষ্টভাবে লেখা থাকা উচিত
- গণেশ বা মাতৃ পূজার সময়
- গায়ে হলুদ, মেহেন্দি, মণ্ডপ এবং সাত পাকের তারিখ
- রিসেপশন বা ভোজের স্থান এবং সময়
- বর-বউ এবং তাদের বাবা-মায়ের নাম
বিয়ের কার্ড শুধু একটি আমন্ত্রণপত্র নয়, এটি শুভ, বাস্তু এবং ইতিবাচক শক্তির প্রতীক। সঠিক রঙ, শুভ মন্ত্র এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে কার্ড তৈরি করলে একটি সফল, শুভ এবং চাপমুক্ত বিবাহ অনুষ্ঠান নিশ্চিত হয়।
Disclaimer: এই আর্টিকেলে থাকা তথ্য ধর্মীয় গ্রন্থ, विद्वान এবং জ্যোতিষীদের থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র এই তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। পাঠকরা এই তথ্যগুলিকে শুধুমাত্র তথ্য হিসেবেই গ্রহণ করুন।


