বিবাহের সময় দেখা যায় বর কনের সিঁথিতে সিঁদুর দান করেন। চারিদিকে একটা আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়। এরপরই একবার নয়, মোট তিনবার কনেকে সিঁদুর দান করে বর। যা শুধুমাত্র একটি রীতি নয়, এর পেছনে রয়েছে গভীর ধর্মীয় কারণ।
হিন্দু বিবাহিত নারীর কাছে সিঁদুর হল তাঁর বৈবাহিক জীবনের প্রতীক। স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে সিঁদুর পরা হয়। বিবাহ রীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সিঁদুরদান। কিন্তু কেন এই শুভ কাজটি তিনবার করা হয়?
বিবাহের সময় দেখা যায় বর কনের সিঁথিতে সিঁদুর দান করে। চারিদিকে একটা আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়। এরপরই একবার নয়, মোট তিনবার কনেকে সিঁদুর দান করে বর। যা শুধুমাত্র একটি রীতি নয়, এর পেছনে রয়েছে গভীর ধর্মীয় কারণ এবং তিন দেবীর আশীর্বাদ লাভের তাৎপর্য। অনেকেই জানান, তিনবারের সিঁদুরদানের মাধ্যমে শুভ শক্তিকে আহ্বান করা হয়।
তবে এটি একটি প্রতীকী রীতি যা বিভিন্ন রীতির মিশ্রণ এবং বিবাহিত নারীর জীবনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনাকেও চিহ্নিত করে। এটি সাধারণত তিনবারই পরানো হয় যাতে এটি একটি শুভ ও অবিচ্ছেদ্য প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এই রীতির মূল উদ্দেশ্য হল নারীর বৈবাহিক অবস্থা, স্বামীর মঙ্গলকামনা এবং তাদের দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনের কামনা এবং প্রতীকী চিহ্ন।
* তিনবার সিঁদুর দান করেোর তাৎপর্য হলো:
১) প্রথমবার: বর প্রথমবার সিঁদুর দান করে, যা বৈবাহিক বন্ধনের একটি প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২) দ্বিতীয়বার: বর দ্বিতীয়বার সিঁদুর দান করে, যা দুই পরিবারের মধ্যে একটি শুভ ও পবিত্র সম্পর্ককে বোঝায়।
৩) তৃতীয়বার: বর তৃতীয়বার সিঁদুর দান করে, যা নতুন জীবন ও নবদম্পতির প্রতি শুভকামনা ও আশীর্বাদস্বরূপ।
* কেন সিঁদুর দান করা হয় :
১) বৈবাহিক অবস্থার প্রতীক: হিন্দু ধর্মে, সিঁদুর বিবাহিত নারীর বৈবাহিক অবস্থা ও তার স্বামীর প্রতি আনুগত্যের প্রতীক।
২) স্বামীর মঙ্গলকামনা: মনে করা হয়, সিঁদুরের শক্তি স্বামীকে যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে, তাই বিবাহিত নারীরা তাদের স্বামীর মঙ্গল কামনায় সিঁদুর পরেন।
৩)পবিত্র ও শুভ: সিঁদুরকে একটি শুভ ও পবিত্র চিহ্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং এটি হিন্দু বিবাহে একটি অপরিহার্য অংশ।


