Puja Tips: ঘরোয়া ভাবে পুজো করা হোক বা আড়ম্বরের সঙ্গে, নৈবেদ্য দানের ক্ষেত্রে বাঙালি হিন্দুরা কোনও কমতি রাখেন না। তবে সমস্যা হয় যখন সেই প্রসাদ বেচে যায়। তখন সেটি নিয়ে কী করা উচিত বুঝতে পারা যায় না।

Puja Tips: পুজোর বাড়তি প্রসাদ ডাস্টবিনে ফেলা অশুভ মনে করা হয়, কারণ এটি ঈশ্বরের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে; এর বদলে প্রসাদ গরিব, অভাবী বা অন্য ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া, পশুপাখিকে খাওয়ানো (বিশেষত গরু বা কুকুর), গাছের গোড়ায় দেওয়া, বা পবিত্র নদীতে বিসর্জন দেওয়া উচিত, যা ধর্মীয়ভাবে শুভ এবং শ্রদ্ধা বজায় রাখে, প্রসাদের অপচয় রোধ করে, এবং পুণ্য সঞ্চয় করে, কারণ প্রসাদ হল ঈশ্বরের আশীর্বাদ যা সবার মধ্যে বিতরণ করা উচিত।

* ভগবানকে দেওয়া নৈবেদ্য সর্বদা সকলের সঙ্গে ভাগ করে খেতে হয়। এটি একা খাওয়ার জিনিস নয়। প্রসাদ যত অল্পই হোক, তা সকলের সঙ্গে ভাগ করে খেলে খুশি হন ভগবান। তাই যত বেশি মানুষের মধ্যে সম্ভব প্রসাদ বিতরণ করে দিন। প্রয়োজনে বাড়তি প্রসাদও পরে খাবেন ভেবে রেখে না দিয়ে অপরকে দিয়ে দিন। এতে ঈশ্বরের কৃপা আপনার উপর বর্ষাবে।

* শুকনো প্রসাদ, যেমন লাড্ডু, সন্দেশ, মিছরি প্রভৃতি জিনিস পরে খাবেন ভেবে রেখে দেওয়া যেতে পারে। তবে সঠিক উপায় মেনে রাখতে হবে। কোনও পরিষ্কার ঢাকনা যুক্ত পাত্রে সেগুলিকে রেখে ঢাকনা ভাল করে আটকে রাখতে হবে। এর সঙ্গে আমিষ কোনও খাবার ছোঁয়ানো যাবে না। তবে সেগুলিকে নষ্ট হতেও দেওয়া যাবে না। সময় থাকতে থাকতে খেয়ে নিতে হবে।

* খিচুড়ি, পোলাও জাতীয় প্রসাদ অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনও গতি থাকে না। এমনটা হলে কোনও গাছের তলায় প্রসাদগুলি ফেলে দিতে পারেন। কিংবা, পরিষ্কার প্লাস্টিকে বেঁধে গাছের তলায় বা পুকুরের ধারে রেখে দিতে পারেন। প্রসাদ কখনও আবর্জনা ফেলার স্থানে ফেলা উচিত নয়। এতে ভগবানকে অসম্মান করা হয়।

* প্রসাদে থাকা ফুলও তুলে ময়লা ফেলার স্থানে ফেলা উচিত নয়। সেগুলি প্রসাদের উপর থেকে সরিয়ে কোনও গাছের গোড়ায় দিয়ে দিতে পারলে খুব ভাল হয়।

* সিন্নি, চরণামৃত জাতীয় প্রসাদ নষ্ট হয়ে গেলে সেগুলি কোনও গাছের গোড়ায় বা প্রবাহিত জলে ফেলে দিতে হবে। নর্দমা বা ময়লা ফেলার স্থানে ফেলা যাবে না।

জেনে রাখবেন প্রসাদ ডাস্টবিনে ফেলা উচিত নয়!

প্রসাদ শুধু খাবার নয়, এটি ঈশ্বরের দেওয়া পবিত্র নিবেদন। ডাস্টবিন হলো আবর্জনা ফেলার জায়গা, যেখানে প্রসাদ ফেললে তা অপবিত্র হয় এবং ঈশ্বরের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, খাদ্যের অপচয় রোধের দিক থেকেও অনুচিত।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।