সংক্ষিপ্ত
- ১৯৫৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা
- মিউনিখ থেকে ম্যানচেস্টারগামী একটি বিমানে ছিলেন ৮ ফুটবলার
- এরা ইতিহাসে পরিচিত হয়ে আসেন "বাসবে বেবস" নামে
- ৮ ফুটবলার সহ ২৩ জন মানুষ মারা গিয়েছিলেন মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনায়
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের একটি চিরকালীন ক্ষত ১৯৫৮ সালের মিউনিখ বিমান দুর্ঘটনা। যা কেড়ে নিয়েছিল তাদের ক্লাবের ৮ ফুটবলারের জীবন। পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে ফুটবল দুনিয়া একচেটিয়া দাপট দেখেছিল স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের। সেই সময় পর পর পাঁচবার ইউরোপ সেরার খেতাব অর্জন করে তারা। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওই ৮ জন ফুটবলার বেঁচে থাকলে তারা রিয়াল মাদ্রিদের পালের হাওয়া কেড়ে নিতে পারতো।
ম্যানেজার ম্যাট বাসবের কোচিংয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বেলগ্রেড থেকে ফিরছিল ম্যান ইউ। তার কোচিংয়ে থাকার জন্যই ওই ম্যান ইউ দল পরিচিত ছিল 'বাসবে বেবস' নামে। মাঝে তাদের চার্টার্ড বিমানটি মিউনিখে নামে জ্বালানি সংগ্রহ করার জন্য। যখন তারা মিউনিখে নামে তখন সেখানকার আবহাওয়া ছিল খুবই খারাপ। তা সত্ত্বেও পুনরায় বিমান উড়ানোর চেষ্টা করেন পাইলট। দুবার সেই চেষ্টা বিফলে যায়। তারপরও তৃতীয় বার বিমান উড়ানোর চেষ্টা করেন পাইলট। কিন্তু ভয়ঙ্কর তুষারপাতের কারণে রিয়েম এয়ারপোর্টের রানওয়ে থেকে উঠতে না পেরে সোজা রানওয়ে থেকে বেরিয়ে সামনে থাকা বাড়িঘরে আঘাত করে মারাত্মক জখম হয় বিমানটি।
বিমানের ৪৪ জন যাত্রীর মধ্যে ২৩ জনই মারা গিয়েছিলেন। বাসবে বেবস-এর ৮ জন খেলোয়াড় ঘটনায় মারা যান। মারাত্মক আঘাত পান ম্যানেজার ম্যাট বাসবে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে কোনওরকমে বাঁচানো হয়। সেই দুর্ঘটনায় বেঁচে থাকা একজন ফুটবলার হলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ববি চার্লটন। তিনি পরে সাক্ষাৎকারে সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা ব্যাক্ত করেছিলেন।
পরে সেই মরশুমে পুনরায় দলগঠন করে খেলতে নামে ম্যান ইউ। বাসবের বদলে কোচিং করান ম্যানেজার জিমি মারফি। এবং তারা এফএ কাপের ফাইনালেও উঠে। বাসবে বেবস-র জীবিত চার ফুটবলারও সেই ফাইনালে খেলেছিলেন। কিন্তু ফাইনালে ২-০ গোলে তাদের হারতে হয় বোল্টন ওয়ান্ডার্স-র কাছে।